জিয়াগঞ্জের শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ফাঁসির সাজা হলো উৎপল বেহেরার

0

HnExpress আসিফ রনি, বহরমপুর : দীর্ঘ চার বছর পর অবশেষে ২৪শে অগাস্ট বৃহস্পতিবার বহরমপুরে (Berhampore) ফাস্টট্রাক কোর্টের শুনানির দিন ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলো আদালত। ২০১৯ সালের ৮ই অক্টোবর, দূর্গা দশমীর দিন, স্কুলের শিক্ষকবন্ধু প্রকাশ পাল (৪১), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল (৩১) ও ৮ বছরের পুত্র অঙ্গন পালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন (Murdered) করার অপরাধে উৎপল বেহেরাকে অপরাধী সন্দেহে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তদন্তের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য ও প্রমান সংগ্রহের পাশাপাশি আইপিসি’র (IPC) ৩০২ ও ২০১ ধারায় চার্জশিট দায়ের করেন তদন্তকারী অফিসাররা। অবশেষে তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে উৎপল বেহেরাকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এদিন সেই মামলারই রায় বের হলো থার্ড ফাস্টট্রাক কোর্টের সন্তোষ কুমার পাঠকের এজলাসে। সরকারী আইনজীবী বিভাস চক্রবর্তীর সাক্ষ্য প্রমান ও উৎপলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

সরকারি আইনজীবী (Public Prosecutor) বিভাস চক্রবর্তী ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ দেন। কি ভাবে, কোথা থেকে এই ঘটনাকে পূর্ণতা দিয়েছিলেন তার সমস্ত সাক্ষ্য প্রমান সহ সঠিক বিশ্লেষনের মাধ্যমে এদিন উৎপলকে খুনি সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষনা করা হয়।

সাজা হিসেবে যাবৎ জীবন ও ফাঁসি দুরকম পন্থা খোলা থাকলেও, সরকারি আইনজীবি বিভাস চক্রবর্তী ও মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ফাঁসির দাবীই করা হয়। অন্যদিকে উৎপলকে কোর্টে তোলার সময় সে বার বার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে থাকে এবং তাকে ফাঁসানোর জন্যই এ সমস্ত কিছু পুলিশের ষড়যন্ত্র বলেও দাবি তার।

যদিও বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সমস্ত তথ্য প্রমান দেখে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনার জন্য ও এমনতর নৃশংস ঘটনার কথাকে মাথায় রেখে আসামি উৎপল বেহেরাকে ফাঁসির ( till death) হুকুম দেন। অভিযুক্ত দোষীর সাজা স্বরূপ ফাঁসির রায়ে স্বস্তিতে শিক্ষকের পরিবার সহ জিয়াগঞ্জ পৌরসভা এলাকার মানুষ। যদিও এখনো দোষীর পক্ষ থেকে উচ্চ আদালত ও শীর্ষ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply