ভয়াবহ রোপওয়ে দূর্ঘটনায় নিহত ২, আটকে শতাধিক পর্যাটক

0


HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়খণ্ড ঃ পাহাড়ে ওঠার পথে ভয়াবহ রোপওয়ে দূর্ঘটনায় নিহত হলেন দুই মহিলা পর্যটক। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে। রোপওয়েতে ফেঁসে ছিল আরও শতাধিক পর্যটক। রাতভোর থেকে চলছে উদ্ধারকাজ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন বলে সুত্রের খবর। পাশাপাশি রয়েছে বায়ুসেনা এবং আধাসেনাও। কিন্তু প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরে আটকে থাকা পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আহত হয়েছেন একাধিক পর্যটক।

জানা গেছে, মোট ১২টি রোপওয়ে কেবিনে এখনও পর্যটকরা আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য নামানো হয়েছে আধাসেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর  সদস্যদের। আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে আটক পর্যাটকের পরিজনদের। বায়ুসেনার হেলিকপ্টার এরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে উদ্ধারকাজে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রোপওয়েতে আটকে রয়েছেন পর্যটকরা। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্ঘটনার পরেই আতঙ্কে কেবল-কার থেকে লাফ দেন এক দম্পতি। তাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার বৈজনাথ ভজনত্রি বলেন, ”পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে NDRF। কয়েকজন পর্যটক কেবল-কারে আটকে রয়েছেন।”



দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব সুখদেও সিংয়ের থেকে তিনি ঘটনার বিবরণ নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার ত্রিকূট পাহাড়ের উপর বৈদ্যনাথ দেবের মন্দিরে যাওয়ার সময় রোপওয়েতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মোট ১৯টি রোপওয়ে সেই সময় সক্রিয় ছিল। একাধিক পর্যটক নিয়ে বেশ কয়েকটি রোপওয়ে মন্দিরের উদ্দেশে রওনাও দেয়।

আবার মন্দির থেকেও দর্শন সেরে রোপওয়ে চেপে ফিরছিলেন একাধিক মানুষ। আমকাই মাঝপথে ঘটে যায় বিপত্তি। কেবল কারগুলির মধ্যে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। আতঙ্কে রোপওয়ে থেকে বেশ কয়েকজন পর্যাটক ঝাঁপ দেওয়ায় গুরুতর আহত হন। ফলে পর্যটকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এদিকে, দুর্ঘটনার পরই তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে রোপওয়ের ভেতরই আটকা পড়ে যান বাকি পর্যটকরা। তাঁদের কাছে খাবার ও জল পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন। 

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply