ISRO বড়ো সর্তকীকরণ, শতাধিক হদ্রের আয়তন বৃদ্ধিতে ভারতে বড়সড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত—

0

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে দ্রুত গলছে হিমবাহ, একাধিক হ্রদের জলস্তর সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির ছবি তুলে ধরেছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ বারংবার জলবায়ু (climate) পরিবর্তনে বিজ্ঞানী থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ধ্বংসের প্রায় খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে বাস্তুতন্ত্র! বিশ্বজনীন তাপমাত্রার পারদ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তবে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরেও তা কেউ কানেই তুলছেন না। প্রত্যেক বছরই বন্যায় ভেসে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ। মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বানের প্রকোপও বেড়েছে অনেকাংশে। এরই মাঝে উদ্বেগের কথা শোনাল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা “ইসরো (ISRO)।”

বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) জেরে ক্রমশ বদলাচ্ছে আবহাওয়া থেকে জলবায়ু। এপ্রিলেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে গ্রীষ্ম প্রধান দেশগুলিতে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভারত (India)। বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা জানিয়েছে, গত বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিবেশগত বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে এশিয়া। ফলে ভারতের পরিস্থিতিও শোচনীয়। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, হিমালয় (Himalayan) অঞ্চলে শতাধিক হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে। সেই বরফগলা জলে বাড়ছে হ্রদের আয়তন। যা আগামীতে বেশ বড়সড়ো বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে যে, হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ থেকে সৃষ্ট হ্রদের পরিধি ঘটছে ৮৭ শতাংশ হারে। কয়েক বছরে কিছু হ্রদের আয়তনও ফুলে ফেঁপে দেড় থেকে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন তাঁরা। একটি বা দু’টি হ্রদেই বিষয়টি থেমে নেই, আয়তন বেড়েছে ৬৭৬টি হ্রদের। উদাহরণস্বরূপ হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) ঘেপাং ঘাট হিমবাহ হ্রদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এটি অবস্থিত ৪০৬৮ মিটার উচ্চতায়। ১৯৮৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১৭৮ শতাংশ বিস্তার হয়েছে এই হ্রদের।

আগে এই হ্রদটির অবস্থান ছিল ৩৬ হেক্টর জায়গা জুড়ে। বর্তমানে এটির আয়জন বেড়ে হয়েছে ১০১ হেক্টর। ইসরোর (ISRO) তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, হিমবাহ গলে যেভাবে হ্রদগুলির আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে জল বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এতে সংলগ্ন এলাকার পরিকাঠামো, জনজীবন এবং পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। ইসরো (ISRO) উদ্বেগ, এ বিষয় লাগাতার নজরদারি চালানোর পাশাপাশি জরুরিকালীন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।

হিমালয় (Himalayan) পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহ যে পরিমাণে গলতে শুরু করেছে, তা অনেক আগেই একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে। হিমবাহ গলে সৃষ্টি হওয়া হ্রদ থেকেই জল পৌঁছায় নদীগুলিতে। তবে হ্রদগুলির বিপজ্জনক ভাবে আয়তন বৃদ্ধি পাওয়াটা একেবারেই সুবিধাজনক নয়। এর ফলে হিমবাহ ফেটে সমতলে হুড়মুড়িয়ে বন্যা নেমে আসতে পারে। আর তার ফলাফল যে কতটা মারাত্মক হতে চলেছে তা আর বলাই বাহুল্য।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply