প্রকাশ্যে সাংবাদিকের গালে চড় মেরে খবরের শিরনামে তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী—

0

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ প্রকাশ্যে সাংবাদিকের গালে চড় মেরে খবরের শিরনামে তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী— আবারও সংবাদিকের ওপরে চোটপাট দেখালেন এক তৃণমূল বিধায়ক। যদিওবা তৃণমূল হাইকমিশন এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। কখনো দু’পয়সার প্রেস বা সাংবাদিক’, তো কখনো ‘মাফিয়া প্রেস’ এবং এরপর তো প্রকাশ্যে সাংবাদিকের গালেই চড়! সরকারি অনুষ্ঠানে এবারে প্রকাশ্যে এক সাংবাদিককেই সপাটে চড় কষিয়ে দিলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী।

থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই নিগৃহীত সাংবাদিক সোমনাথ চক্রবর্তী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। তিনি বলেন ‘ওই সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর করেছে। যে ভাষায় লিখেছে, তা দেখে কারও মাথার ঠিক থাকবে না। কিন্তু আমি চড় মারিনি।’ কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে, গত কয়েক দিন ধরেই বেসুরো মন্তব্য করছেন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। সাথে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন যে দলের অনুষ্ঠানে কিছুদিন ধরেই তাঁকে ডাকা হয় না।

আর সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ অনন্তদেব। তিনি জানতে পারেন খবরটি করেছেন সাংবাদিক সোমনাথ চক্রবর্তী। আর এরপরই সোমনাথের ওপর বিধায়ক হাত তোলেন বলে অভিযোগ। ময়নাগুড়ি শহরের ফুটবল মাঠে সরকারি উদ্যোগে তৈরি হওয়া একটি জিমের উদ্বোধন প্রাঙনেই তিনি সাংবাদিককে সাফ জানিয়ে দেন যে, “অ্যান্টি খবর করা যাবে না।” আর সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী স্বয়ং। 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও তীব্র নিন্দা করেন তিনি। অন্যদিকে এই সাংবাদিক তোষনের ঘটনার তীব্র ভর্ৎসনা ও ধিক্কার জানিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেন বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার সভাপতি অরিন্দম রায় চৌধুরী বলেন, পেশার তাগিদে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের সামনে আসল খবর তুলে ধরাই হল সাংবাদিকের পেশা। আমজনতার কথা সরকারকে এবং সরকারের বক্তব্যকে আমজনতার কাছে উপস্থাপন করে এই দু পয়সার সংবাদ মাধ্যমই।

সংস্থার সম্পাদক সুবত্র রায় বলেন, অতিসত্বর বিধায়ককে তাঁর এই রূঢ় আচরণের জন্য নিঃশর্তে দুঃখ প্রকাশ ও প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানাচ্ছে বেঙ্গল ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন। অন্যথায় পরবর্তীকালে দেশের চতুর্থ স্তম্ভকে দিনের পর দিন এই ভাবে লাঞ্চিত, অপমানিত হলে বাধ্য হয়ে সমস্ত রাজনৈতিক নেতা-নেতৃত্বদের নিউজ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিতে হবেই আমাদের। আবার অপরদিকে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেট দুনিয়ার নেটিজেন থেকে শুরু করে, বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমও।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply