বিচারকের চোখে পুজো পরিক্রমা —২য়
HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, উত্তর ২৪ পরগণা ঃ বিচারকের মতামতে, সন্ধানী আর নবপল্লীর মন্ডপ -প্রতিমা দেখে আমাদের এসি গাড়ি যেন হঠাৎ জনসমুদ্রে সাঁতরাতে শুরু করল। আমরা বেড়িয়েছিলাম বারাসাত এবং মধ্যমগ্রামের নির্বাচিত বেশ কিছু পুজোর মধ্য থেকে বাছাই করা কয়েকটিকে ‘বিশ্ব সম্প্রীতি আলোক সম্মান ২০১৯’ এর নানান ধরনের পুরস্কারের সম্ভার তুলে দিতে তার বিচার পর্ব নিয়ে।
অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ‘হাইলাইট নিউজ এক্সপ্রেস’ ডিজিটাল মিডিয়া। বিচারক হিসেবে আমি ছাড়াও ছিলেন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক দিব্যেন্দু ঘোষ, নৃত্যশিল্পী ইন্দ্রানী গঙ্গোপাধ্যায়, আন্তর্জাতিক অ্যাথলিট প্রবীর সরকার এবং ফ্যাশন ডিজাইনার প্রমিত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন চ্যানেল হেড ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত।
রোদ্দুর একটু একটু করে পশ্চিম গগনে ঢলছে আর ভিড়ও বাড়ছে। অপরিসর রাস্তার দুপাশে স্থায়ী-অস্থায়ী স্টল। কৃষ্ণনগর রোড লোকের ভীড়ে থিকথিক করছে। কলোনি মোড়ের দুপাশে আরএসএস, বিজেপি (বারাসাত পৌরমন্ডল -পশ্চিম), ডিওয়াইএফ-এর স্টল। কারও স্টলে বিদ্যাসাগরের মুখ, কেউ বা প্রচারের অস্ত্র করেছে স্বামী বিবেকানন্দকে। তার ঠিক পাশেই স্বামীজীর একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তি। অন্যদিকে আবার সিপিআইএমএল -এর স্টলে প্রচার ‘নকশালবাড়ির ধারায় আন্দোলন গড়ে তুলুন‘, অথবা ‘সমস্ত রাজনৈতিক বন্দির অবিলম্বে মুক্তি চাই’।
এরই মধ্যে পুলিশের যান নিয়ন্ত্রণের যাঁতাকলে এবারে আটকে গেল আমাদের কনভয়। তবে অতি তৎপরতার সাথে পরিক্রমার উদ্যোক্তারা ছাড়িয়েও দিলেন তা। কে বি বোস লেন, চাঁপাডালি মোড় জুরে— চারদিকে খালি অত্যুৎসাহী দর্শক এর জমাটি ভীড়। ‘বিদ্রোহী’-র পুজো ডিঙিয়ে আমরা এলাম টাকি রোডের ‘শতদল’-এ।
এই পরিক্রমায় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল, সংবাদ প্রতিক্ষণ, বেঙ্গল টুডে, বিবিপি নিউজ, লাভ এন অ্যাফেয়ার ও নজরে বাংলা চ্যানেল। সহযোগী পার্টনার হিসেবে ছিলেন ড. সিদ্দিকী ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ড. ইকবাল সিদ্দিকী (নিউরোসার্জেন, কন্স্যালটেন্ট ব্রেইন ন স্পাইন সার্জেন), চন্দনা মেমোরি অফ ট্রাস্টের কর্ণধার নুপুর সাহা, এসআরআইএএইচসি এর কর্ণধার কুমারেশ রায় প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী জয় সরকার।
(ক্রমশঃ)