বিচারকের চোখে পুজো পরিক্রমা —১ম
HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, উত্তর ২৪ পরগণা ঃ বিচারকের মতামতে, হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দক্ষ প্রজাপতি অভিশাপ দিয়েছিলেন চন্দ্র প্রভাসকে। চন্দ্র তীর্থে শিবের আরাধনা করলে, শিব তাঁর অভিশাপ অংশত নির্মূল করেন। এই কারণে চন্দ্র সোমনাথে শিবের একটি স্বর্ণমন্দির তৈরি করেন। পরে রাবণ রূপো ও কৃষ্ণ চন্দনকাঠ দিয়ে মন্দিরটি পুনরায় করেছিলেন বলেই বিশ্বাস পুরান মতে।
গুজরাটের সোলাঙ্কি শাসক ভীমদেব সোমনাথ মন্দির তৈরি করেন পাথর দিয়ে। সোলাঙ্কি ছিল ভারতের পাঁচ রাজপুত রাজ্যের অন্যতম। ঐতিহ্যের সেই সোমনাথ মন্দিরকে এবারের কালীপুজোয় থিম করেছে বারাসতের নবপল্লী। এইচএন এক্সপ্রেস ডিজিটাল মিডিয়ার পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে আমরা একদল বিচারক গিয়েছিলাম নবপল্লী সার্কুলার রোডের (কলকাতা ১২৬) এই বিখ্যাত পুজোয়।
এই ক্লাবের সভাপতি ডঃ কাকলী ঘোষদস্তিদার। প্রথমেই চোখে পড়বে একটি পেল্লাই শিবলিঙ্গ। সামনে বসে মন্দির অর্থাৎ মন্ডপমুখী একটি নিরীহ ষাঁড়। মূল মন্ডপের কারুকাজ অসম্ভব সুন্দর। ভিতরে দেওয়ালের গায়ে বিশাল মাপের শিব, গণেশ। সোনালি রঙের, থার্মোকোল দিয়ে তৈরি। মন্ডপের দু’পাশে ৪টি করে শিবমন্দির।
দেখতে দেখতে ভাবছিলাম গুজরাট রাজ্যের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের বেরাবলের নিকট প্রভাস ক্ষেত্রে এই প্রসিদ্ধ শিব মন্দির। এটি হিন্দু দেবতা শিবের দ্বাদশ লিঙ্গের মধ্যে পবিত্রতম। সোমনাথ শব্দটির অর্থ “চন্দ্র দেবতার রক্ষাকর্তা”। সোমনাথ মন্দিরটি ‘চিরন্তন পীঠ’ নামে পরিচিত।
কারণ অতীতে প্রায় ছয় বার ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও মন্দিরটি পুনর্নিমিত হয়। ১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে জুনাগড়ের ভারতভুক্তির সময় এই অঞ্চল দেখে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বর্তমান মন্দিরটি তৈরির পরিকল্পনা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর মন্দিরের কাজ এগিয়ে নিয়ে যান ভারত সরকারের অপর এক মন্ত্রী কে. এম. মুন্সি।
সোমবার দুপুরে নবপল্লীর আগে আমরা সফর শুরু করি বারাসাতের ‘সন্ধানী’-কে দিয়ে। থিমে শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের বার্তা, আর আমাদের বিশ্ব সম্প্রীতি আলোক সম্মান এরও বিভিন্ন বার্তার মধ্যে এটিও একটি। ভাবনা, মন্ডপ, আলোক সজ্জা, প্রতিমায় এক নতুনত্বের প্রকাশ। এদিন বিচারকরা সেখানে কিছু দলবদ্ধভাবে ছবিও তুললাম (ক্রমশঃ)।