নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় ফের জেরার মুখে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার
HnExpress ১১ই জুন, সুদীপ ঘোষ, নদীয়া ঃ বেশ কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস এর খুনের ঘটনায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে তলব করল সিআইডি। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় ফের জেরার মুখে পরলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
সূত্রের খবর, গতকাল বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে তিনি সিআইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দেখা করতে যান। প্রসঙ্গত নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এর বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের মামলায় মুকুল রায় এবং বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম জড়িয়ে ছিল। এর আগেও একাধিকবার সিআইডি দুজনকে তলব করেছিল। লকডাউনের প্রাক্কালে ফের জগন্নাথ সরকারকে গতকাল দেখা করতে নোটিশ পাঠায়।
তদন্তে সহযোগিতা করতেই সিআইডির ডাকে জগন্নাথ সরকার দেখা করতে গেছিলেন বলে জানান। তারপর বুধবার তাঁকে ভবাণীভবনে টানা ৪ ঘণ্টা জেরা করে সিআইডি। এ নিয়ে তাঁকে তিনবার জেরা করা হল তাঁকে। এবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ ও ৯ তারিখে এক ম্যারাথন জেরাও করে সিআইডি। তবে এই খুনের কিনারা এখনও হয়নি। সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় তৃণমূল রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে বিজেপির লোকজনকে ফাঁসাচ্ছে, এমন অভিযোগে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।
কলকাতা হাইকোর্ট জগন্নাথ সরকারকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। আর সত্যজিত্ খুনের তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েও বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করে ছিলেন যে, পুরভোটের দিকে তাকিয়েই নাকি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, গত বছর ৯ই ফেব্রুয়ারি ভরা সভায় গুলির আঘাতে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নিজেরই ক্লাবের সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে খুন হন তিনি।
পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সত্যজিতের মাথায় গুলি করে পালায় আততায়ীরা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সেসময় দাবি করেন যে, সেদিন রীতিমতো ছক কষেই খুন করা হয়েছিল তাঁকে। ঘটনার পরই অভিজিৎ পুন্ডারি নামের একজনকে দুষ্কৃতিকে আটক করে পুলিস। সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনার পর শনিবার রাতেই অভিজিৎ নামে অভিযুক্ত সেই যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকার উন্মত্ত মানুষ।