বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে পথ অবরোধ করলো বিজেপি কর্মী সমর্থকরা
HnExpress ১৭ই জুলাই, সুদীপ ঘোষ, নদীয়া ঃ এদিন বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রতিবাদ দেখালো বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার নদিয়ার ভীমপুর থানার ঝাউতলা মোড়ে সকাল ১০টা থেকে বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার বাপি ঘোষ নামে এক বিজেপি কর্মীকে ভীমপুরের গলাকাটা গ্রামে বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে।
বুধবার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় বিজেপির যুবমোর্চা কর্মী বাপি ঘোষের। ঘটনার পর আজ তার বাড়িতে পরিবারের সাথে দেখা করতে যায় বিজেপির নেতা মহাদেব সরকারের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল। মৃত কর্মীর বাড়িতে যান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। সেখানে পৌঁছতে গেলে প্রথমে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
তারপরে বাপি ঘোষ এর বডি নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণনগরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র খাঁ, কল্যান চৌবে সহ বিজেপির নানা নেতা নেত্রীরা। সেখানে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কে রাক্ষুসী হিসেবে আখ্যা দেন এবং রাজ্য সরকারের উপরে বিভিন্ন ক্ষোভ উগরে দেন এবং পুলিশি তৎপরতাকে ভৎর্সনা করেন। তারপর বুধবার রাতে কৃষ্ণনগর করিমপুর বাস স্ট্যান্ডের সামনে রাত ন’টা নাগাদ তারা অবরোধ শুরু করে।
এর জেরে শুরু হয় পুলিশের সাথে বাদানুবাদ। এক বিজেপি কর্মীদের দাবি, বাপি ঘোষ এর বডি বিজেপি জেলা পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। কিন্তু সেই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয় যে বাপি দাস এর বডি সরাসরি নবদ্বীপ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে অবশ্য পুলিশ মেনে নেয় বিজেপি নেতার দাবি, আর তারপরই পথ অবরোধ উঠে যায়।