জোড়া খুনের ঘটনায় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে বাংলার শাসন ব্যাবস্থা, শাসক দলকে খোঁচা বিজেপির

0


HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ বেশ বড় চিহ্নের মুখে বাংলার শাসন ব্যাবস্থা। একদিকে বাম নেতা আনিস, আর অন্যদিকে খোদ শাসক দলের কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। এদিন পানিহাটি পৌরসভার অন্তর্গত আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে রাস্তার উপর গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় শম্ভু পণ্ডিত নামের অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

তাকে বারাকপুর থানা থেকে বের করে পেশ করা হয় বারাকপুর মহকুমা আদালতে। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, “কাউন্সিলররা বেআইনি কাজ বাধা দেয়। তাই যারা বেআইনি কাজ করে তাদের আক্রোশ পড়ে কাউন্সিলরদের ওপর। তবে এ কাজ কে করেছেন সেটা এখনই বলতে চাই না। এটা পুলিশের কাজ, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে দিয়ে মোটিভ অফ মার্ডার খুঁজে বের করার”।

অন্য দিকে ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুরেরও মৃত্যু হয়েছে গুলিবিদ্ধ হয়ে। এই দুটি খুনের ঘটনায় বেশ চিন্তান্বিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোমবার রাজ্যের সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বলে নবান্ন সুত্রের খবর। জানা গেছে, মূলত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে এ দিনের এই বৈঠকে। আর সেই বৈঠকের পরই পানিহাটি পৌঁছেছে সিআইডি-র একটি টিম।

যদিও এখনও রাজ্যের তরফে এই খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়নি। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। এদিনের প্রসাশনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এডিজি সিআইডি, এডিজি আইন শৃঙ্খলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় প্রশ্ন তোলেন।



যদিও এই নিহত দুই কাউন্সিলরের একজনও বিজেপি দলের নন। তবুও বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগগা বলেছেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যায় পানিহাটি তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত ও ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে যে ভাবে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে থেকে গুলি করে মারা হয়েছে, তা উদ্বেগজনক। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছি, পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার কোনো বালাই নেই।’

পশ্চিমবঙ্গে কার্যত তালিবানি শাসন চলছে। আর যেখানে জনপ্রতিনিধিদের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষের জীবন এর নিরাপত্তা কোথায়? আমরা চাই, মুখ্যমন্ত্রী এসে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে যান। কেন জনপ্রতিনিধিরা খুন হলেন, তা-ও যেন জানিয়ে যান তিনি”। উপর থেকে নিচ তলার একটাই প্রশ্ন, জনপ্রতিনিধিদেরই যদি সিকিউরিটি না থাকে, তবে সাধারণ মানুষ কি ভরসা নিয়ে জীবনযাপন করবে।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply