বিক্ষিপ্ত অশান্তিতেই মিটলো ভোট, অভিযোগের তীর শাসক দলের দিকে
HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, বিধানগর ঃ আজ পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলার চারটি পুরনিগমে পুরভোট ছিল। আজ দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি পুরনিগম, হুগলি জেলার চন্দননগর পুরনিগম, উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর পুরনিগম এবং পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরনিগমের ভোট সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়। কমিশনের নিয়ম মেনেই তা বিকেল ৫টায় শেষ হয়।
২২শে জানুয়ারি এই চার পুরনিগমে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে ভোট পিছতে বাধ্য হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট কালিন পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার ভোটে চার পুরনিগমের সিসিটিভি কন্ট্রোল বুথগুলির জন্য প্রায় ৯ হাজার সশস্ত্র ও লাঠিধারী বাহিনী ফিল্ডে রাখা হয়।
তার মধ্যে সাড়ে আট হাজার বুথের দায়িত্বে ছিল এবং বাকি ৫০০ বাহিনী ছিল কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিং এর জন্য। এতো কিছু ব্যাবস্থা নেওয়ার পরেও ভোট শুরু হতেই অশান্তি শুরু হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং বিধাননগর থেকে ভুয়ো ভোটার, বিরোধীদের উপর বিশেষত বিজেপি কর্মীদের ওপর শাসকদলের হামলা, আবার কখনও আগত ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠছে।
বেলা ৩টে অবধি আসানসোলে ভোট পড়ে ৭১.৯৮ শতাংশ। বিধাননগরে ৭১.৩২ শতাংশ, চন্দননগরে ৭১.০৬ শতাংশ ও শিলিগুড়িতে ৭৩.০৫ শতাংশ ভোট পড়ে। বিধাননগর পুরনিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তীর অভিযোগ তার স্বামীর মাথিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হয়। বুথে ছাপ্পা ভোট হওয়ার খবর শুনেই বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর স্বামী গিয়ে প্রতিবাদ করতেই বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করে মাথা ফাটায়।
তাঁর গলা টিপে ধরা হয়। তাদের আরও অভিযোগ যে রাজ্য পুলিশ সব দেখার পরও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। ভোট প্রাঙ্গনে এক ভোটার তার অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “একটা সময় শহর থেকে গ্রাম, সাথে মফস্বলও বাদ থাকতো না বামেদের একাধিপত্যে থেকে। যার ফলস্বরূপ বিরোধী থাকলেও ভোট বাক্স কিন্তু বামেদের অধিকারে থাকতো।
তারপর বামেদের সেই ৩৪ বছরের পরাজয় এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জয় হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে আবারও কি সেই যুগেই ফিরে যাচ্ছি? সত্যি মিথ্যা যাই হোক না কেন, কথাটা ভাববার বিষয়। প্রতিটি রাজ্যে কিংবা দেশে শাসক দল যেই থাকুক না কেন বিরোধীদেরও দরকার থাকে।
বিধাননগরে ৩১ নম্বরের পর ৩২ নম্বরে ভুয়ো ভোটার পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। বুথে ভোটার নিজের নাম প্রদীপ বলে, কিন্তু ভোটার স্লিপে নাম রয়েছে নির্মল কুমার বৈষ্ণব। তার কাছে কোনও পরিচয়পত্র নেই এবং ভোটার কার্ডও ছিল না। পুলিশ প্রথমে বিষয়টিকে নজরে না আনলেও শেষে খানিকটা চাপে পড়েই তাঁকে গ্রেফতার করে বলে সুত্রের খবর।