২১ সালে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সাথে ভোটের দামও কমতে পারে। ফলত বাংলার জয়ের স্বপ্ন কি স্বপ্নই থেকে যাবে বিজেপির?
HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ সূত্রের খবর অনুযায়ী আমফানের পর আমজনতার ব্যাংক একাউন্টে ৫০০ করে টাকা, আয়ুস্মান ভারতে ভারতবাসীকে চিকিৎসা ব্যাবস্থা প্রদান, কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের উৎসাহ প্রদান করতে হাসপাতাল গুলির ছাদে হেলিকপ্টার করে পুষ্পবৃষ্টি প্রদানের জন্য খরচ হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী শুধু হাজার নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা।
ফলে সংখ্যাটা নেহাত মন্দ নয় বইকি। যার ফলে ইতিমধ্যেই অর্থনীতি তলানিতে। তার ওপরে শিরে সংক্রান্তি, কারন ২১ শে বিধানসভা ভোট। আমজনতার ধারণা অনুযায়ী এতো দিনের ফ্রীতে চাল, গম দেওয়াতে যে হারে রাজকোষ শূন্য, তা ভরাট করতেও নব্য ফন্দি টাকা উশুল করতেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নেতা ভাঙ্গানোর বাঁকা রাজনীতি তো আছেই কেন্দ্রীয় সরকারের মগজে। গত নভেম্বর মাস থেকেই রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেই চলেছে মােদী সরকার।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, তার প্রভাব আপাতত পাঁচ রাজ্যের ভােটে পড়বে। কারন ইতিমধ্যেই আনলক ফাইভে দাঁড়িয়েই বেজে উঠছে ভোটের ভেঁপু। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও সাথে আছে কেরালা, তামিলনাড়ু, অসম ও পুদুচেরি রাজ্য। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সন্মেলন করে এই পাঁচটি রাজ্যের দিনক্ষন ঘোষণা হয়ে যাবার পরই জানা যায়, মোট পাঁচ দফায় ভোট গ্রহন করা হবে পশ্চিমবাংলায়। বিজেপি একুশের ভোটে বাংলা দখল করতে মরিয়া।
তাই বাংলার বিজেপির নেতৃত্বরা যেমন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়রা বিজেপি হাই কমান্ডের কৌশল মতো কাজ করে চলছে। বাংলার নেতাজি ছাড়াও অন্যান্য দেশ সেবকদের নিয়ে কটূ কথাতে প্রায় এক ঘরে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁদের নিয়ে তৃণমূল তীব্র কটাক্ষ করেছে— ‘‘বাংলার লড়াইয়ে বাঙালির উপর আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপি।” এছাড়াও মােদী সরকারের কৃষি আইনের ভয়াবভতার ফলের ভীতি সবার মনের মধ্যে তো আছেই। যেভাবে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে এখনো, তা ভোটে প্রভাব ফেলতেই পারে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, ইতিমধ্যেই কৃষক অ্যান্দলন রুখতে বন্ধ করা হয়েছে জল, স্যানেটাইজেশন ব্যাবস্থা। তবুও কৃষকরা তাতে পিছপা নয়। এই আইন প্রত্যাহার না করলে আগামী দিনে মােদী সরকারকে বড় খেসারত দিতে হবে বলে দাবি তাদের। আর খেসারত মানেই হলো প্রাপ্য ভোট কমে যাওয়া। ফলাফল প্রভাব ফেলতে পারে বাংলার ভোটেও। খেসারত বৃদ্ধি পেলে কেন্দ্র থেকে গো-হারা হেরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকবেই।
যে হারে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলেছে সরকার, তাতে নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তদের উপর সবচেয়ে বেশি চাপ এসে পরছে । ফলে মােদী সরকারের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে অসম বাদ দিলে কোথাও বিজেপি ক্ষমতায় নেই এই মুহুর্তে। ইতিমধ্যে অসমও হাতছাড়া হতে চলেছে, কারণ সেখানে তৃণমূল স্তরের দলগুলি একের পর এক বিজেপি ত্যাগ করছে।
তাছাড়া এনআরসি ভীতি তো আছেই। অতএব বাংলার প্রতিটা রাজনৈতিক দলের বদনাম করে, নেতা ভাঙ্গিয়ে নেওয়ার রাজনীতি করে বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবে তা সত্যি হওয়াটা খুবই কঠিন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।