নব্য স্ট্রেনের জেরে আবার বন্ধ মহারাষ্ট্রের স্কুল, কলেজ। বাংলাতেও বাড়ছে করোনার গ্রাফ, রাজ্য সরকার হাঁটবে কিসে, আনলক ফাইভে নাকি লকডাউনেই?

0

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ করোনা যে চলে গেছে তা আমরা কেউ জোর গলাতে বলতে পারবো না এই আনলক ফাইভে দাঁড়িয়েও। তবুও নেতা থেকে আমজনতার মুখে মাক্সের কোনো বালাই নেই। কি হবে ভবিষ্যতের ফলাফল? বেশ বড়ো প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা বাংলার প্রেক্ষাপট। ভারতের সব কটি রাজ্য গুলির মধ্যে করোনার সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়েছিলো মহারাষ্ট্রে। আবারও নয়া স্ট্রেনের জেরে সেই রাজ্যেই বন্ধ হয়ে গেল স্কুল-কলেজ ।

কারণ বিগত কয়েক দিন ধরেই করোনার নতুন স্ট্রেনের জেরে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি আবারও খারাপ হচ্ছে। তাই বন্ধ করে দিতে হলো স্কুল-কলেজ। কিছু দিন আগেই খোলা হয়েছিল স্কুল কলেজ। কিন্ত পরিস্থিতির কার্যকারন বিশ্লেষণ করে স্কুল-কলেজ আবার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হল উদ্ধব ঠাকরে সরকারকে ।
এতো গেলো মহারাষ্ট্র, তাল মিলিয়ে বাড়ছে বাংলার করোনা গ্রাফও। করোনাকে উপেক্ষা করেই স্কুলগুলিকে খুলে রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।

কিন্তু তা বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। প্রথম ঢেউতেই হয়েছে বেশ কয়েক লাখ মানুষের প্রানহানি। এবার আসতে চলছে দ্বিতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যেই দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা চলতি মাসের সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছে গেল রবিবার। ওই মাসের অর্থাৎ ২৫ শে ফেব্রুয়ারি করোনাতে আক্রান্ত হয়েছিলো ১৬ হাজার ৭৩৮ জন। এই মাসের সেটাই ছিল তখনও পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবারের সংখ্যার পরিসংখ্যানে দেখা যায় টানা ৪ দিন ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি।

সামনেই ২১ এর বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সন্মেলন করে এই পাঁচটি রাজ্যের ভোটের দিনক্ষন ঘোষনা হয়ে গেছে। কেরালা, তামিলনাড়ু, অসম, পুদুচেরি ছাড়াও তালিকাতে আছে বাংলা। বিশেষজ্ঞদের মতে ভয়ের কারন এটাই যে, করোনা রুখতে বিশেষ সর্তকতা প্রয়োজন, তা মানা হচ্ছে না। সামনে ভোট তাই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিরোধীরাও লাইন দিয়ে মিটিং, মিছিল এর জমায়েত করে চলছে। নেই কোনো প্রতিবাদ।

প্রায় এক বছর স্কুল বন্ধ রাখার পর সদ্য দুমাস থেকে তিন মাস স্কুল খুলেছে। খুলেও মানা হচ্ছে না সোশ্যাল ডিসটেন্স, আবার অনেকেই মাক্স পরা ছেড়েই দিয়েছে। ছোটোদের কথা ছেড়ে দিলেও, পথে ঘাটে অনেক বয়স্ক ব্যাক্তিকেই দেখা যাচ্ছে মাক্স ছেড়েই ট্রেনে, বাসে ট্যাক্সিতে চাপতে কিংবা জনবহুল এলাকাতে ঘুরতে। এর ফল কি হবে তা ভাষাতেও প্রকাশ করা যাবে না। পরিবেশে থেকে পরিবেশের উৎকৃষ্ট জীব মানুষই কি করোনা মহামারীতে চলে যাবে বিলুপ্তির পথে?

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply