এবারে শৌচাগারে বোমা ফেটে মৃত্যু এক কিশোরের

0


HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, বনগাঁও : এবারে শৌচালয়ে বোমা ফেটে মৃত্যু হল এক কিশোরের। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত বনগাঁর বক্সী পল্লীতে। দুর্ঘটনায় ১২ বছরের এক বালকের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। মৃত বালকের নাম রাজু রায়। তার বাড়ি বনগাঁর বক্সী পল্লী এলাকার কাছেই।

প্রতীকী ছবি।

সকালে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল ওই কিশোর। শৌচাগারের ভিতরেই বোমা রাখা ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। বিস্ফোরণের পর ওই কিশোরকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ, সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক।



ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে বাবার সঙ্গেই শৌচালয়ে শৌচের জন্য গিয়েছিল সে। কথা ছিল, সেখান থেকে নিজেদের কাজের জায়গায় যাওয়ার। কাছেই একটি গাড়ির গ্যারাজে কাজ শিখছিল রাজু। কিন্তু সেখানে আর তার যাওয়া হয়ে ওঠেনি।

রাজুর বাবা জানিয়েছেন, শৌচালয় থেকে আগেই বেরিয়ে যান তিনি। ছেলেকে বলে যান পাশের একটি খাবার দোকানে খেয়ে কাজে যেতে। পরে ছেলের খাবারের টাকাও তিনি দিয়ে দেন দোকানটিতে। মাঝপথ থেকে ফিরে আসেন ছেলেকে সে কথা জানাতে। তখনই দেখেন শৌচালয়ের সামনের ফাঁকা জমির উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাজু।

প্রতীকী ছবি।

রাজুর বাবা জানিয়েছেন যে, তিনি শৌচালয়ের ভিতরে গিয়ে দেখেন চতুর্দিকে চাপ চাপ রক্ত। ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে শৌচাগার। তিনি পুলিশকে বলেছেন, ”বিস্ফোরণের পর ও হয়তো টয়লেটের দরজা খুলে বেরিয়ে আসে। কিন্তু সম্ভবত বেশিদূর না যেতে পেরে পড়ে গিয়েছিল। আমি গিয়ে ওর দেহ ধরেই বুঝতে পারি, শরীরে প্রাণ নেই।”

প্রতীকী ছবি।

উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় শৌচাগারে বোমা বিস্ফোরণের জেরে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। ধৃতদের মধ্যে এক জন যুবক এবং অন্য জন প্রৌঢ়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা করছে বনগাঁও থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের এক জন বছর তিরিশের বাপ্পা বিশ্বাস।

অন্য জন পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রৌঢ় অসিত অধিকারী। তাঁরা ওই শৌচাগারে বোমা রেখেছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। এর পিছনে আর কেউ যুক্ত আছে কি না, বা এই খুনের মোটিভ কি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের। সোমবার সকালে এই বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে।

ছবি : এবিপি আনন্দ।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply