রাস্তা পরিনত হয়েছে ডোবায়, পাকা রাস্তার দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

0


HnExpress বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা ঃ হাতে হাতে এখন স্মার্ট মোবাইল ফোন, 4G ইন্টারনেট, সবই রয়েছে। কিন্তু রাস্তা আজও পাকা হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই দুর্দশার সীমা থাকে না। তাই পাকা রাস্তার দাবিতে এবার পথে নামলেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কাপাইচন্ডি, কতল, মোল্লাবাড়ি, পেমা ভক্তিপুর ও গিধিনপুকুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

নিজস্ব চিত্র।

মঙ্গলবার বিকেলে কুশিদাগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো বাসিন্দা। তার ফলে ব্যস্ত সময়ে তীব্র যানজট তৈরি হয় কুশিদা রাজ্যগামী জাতীয় সড়কে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। একদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে চোষা জমি ও ছোটোখাটো পুকুর। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জল জমে থৈ থৈ অবস্থা।

নিজস্ব চিত্র।

রাস্তার এই নোংরা পঁচা জল থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নিত্যদিন ঘটছে ছোটো বড়ো দুর্ঘটনা।এলাকায় কোথাও আগুন লাগলে ঢুকতে পারবে না দমকলের গাড়িও। হঠাৎ কোনো প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে প্রচন্ড সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫-৬ টি এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দারা।



তাই পাকা রাস্তার দাবিতে‌ এবারে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, “কোতল, পেমা ভক্তিপুর সহ প্রায় কুড়িটি গ্রামের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ প্রত্যেকদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। হরিশ্চন্দ্রপুর, কুশিদাতে বিভিন্ন কাজে এবং চিকিৎসার জন্য যেতে হয়। প্রচন্ড সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রসূতিদের।

নিজস্ব চিত্র।

বোর্ড লাগানো হলেও কেন রাস্তার কাজ শুরু হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। আমাদের দাবি, দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করতে হবে।” হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক বিডিও অনির্বান বসু বলেন আমার এই ব্যাপারে বলার কিছুই নেই। মানুষ তাদের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে। তবে একেবারে তো সব রাস্তার কাজ হয় না। বহু রাস্তা পাকা হচ্ছে। আশা করি আগামীতে এই রাস্তার কাজ হয়ে যাবে।

নিজস্ব চিত্র।

এদিন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ চৌধুরী বলেন,” যেখানে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেই কতল গ্রামে দুই বছর আগে আমি তিরিশ লক্ষ টাকা খরচ করে রাস্তা মেরামত করেছি। হয়তো আবারও কিছু সমস্যা হয়েছে তাই তাঁরা বিক্ষোভ করছে। তবে এই মুহূর্তে আমাদের জেলা পরিষদের সভাধিপতি নেই। তাই সব কাজ আটকে আছে। তবে তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। দ্রুত আমরা এই সমস্যার সমাধান করে দেব।”

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply