নির্ভয়ার পর আবারও গণধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে, কর্তব্যের গাফিলতিতে সাসপেন্ড এসএইচও

0

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ নির্ভয়ার পর আবারও গণধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে, কর্তব্যের গাফিলতিতে সাসপেন্ড এসএইচও। প্রসঙ্গত, নির্ভয়াকাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের তিন-তিনবার ফাঁসি পিছিয়ে যাবার পরও শেষ রক্ষা হয়েনি তাদের। মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় ঠাকুরদের ভাের সাড়ে ৫ টায় ফাঁসি হয়। গোটা রাত ধরে অপেক্ষা করার পর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা আম জনতা ভোরবেলাতেই মিষ্টি বিতরণ করে উৎসব করা শুরু করে দিয়ে ছিলো।

এই ঘটনার পর ঠিক কয়েক মাসের ফাঁরাকের পর উত্তরপ্রদেশে প্রায় একই রকম ভাবে সেই গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করা হল পঞ্চাশ বছরের এক মহিলাকে। ধর্ষণের পরেও আত্মতুষ্টি হয়নি ধর্ষকদের। যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এবং ওই সেই রড দিয়েই মারা হয় সেই মহিলাকে। মারের ফলে ভেঙে যায় পাঁজর ও পায়ের হাড়। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার উঘৈতি থানা এলাকায় এই গণধর্ষণ এর ঘটনা ঘটে।

সুত্রের খবর, স্থানীয় একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। রাত বাড়তেই বাড়ির লোকজন খোঁজা শুরু করে। মাঝরাতে রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধারও করা হয় তাঁকে। রক্তপাত এতটাই হয়েছিল যে সাদা হয়ে গিয়ে ছিল তার গােটা শরীর। রাস্তাতে পরে থাকার সময়ও বেঁচে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কিন্তু বাঁচানাে সম্ভব হয়নি সেই মহিলাকে।

রবিবার রাতে মৃত্যু হলেও, সোমবার বিকেলে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন মৃত মহিলার পরিবার। তিনজন চিকিৎসক ও একজন মহিলা এই ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। যদিও এই ঘটনায় মহন্ত বাবা সত্যনারায়ণ, তাঁর সহযোগী বেদরাম ও গাড়ির চালক জসপালের নামে নির্মম ভাবে ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে, ধর্ষণের পর দুষ্কৃতীরা নির্ভয়ার মতোই সেই মহিলাকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়। রবিবার রাতে ধর্ষণের ঘটনার পর অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও উত্তর প্রদেশের বঁদায়ু জেলার উঘৈতি থানার স্টেশন অফিসার (এসএইচও) রবেন্দ্র প্রতাপ সিংহ সোমবার দুপুরে জায়গাটি একবার দেখে আসেন কেবল মাত্র। দীর্ঘ গড়িমসির পরে গিয়ে ময়নাতদন্ত এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করে উঘৈতি থানার পুলিশ প্রশাসন।

স্থানীয় সুত্রের খবর, পুরোহিত হিসেবে ওই এলাকার পরিচিত নাম বাবা সত্যনারায়ণ। মহিলাটি যে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে ছিলেন, তিনি সেই মন্দিরের পুরোহিত কি না, এখনো তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে উঘৈতি থানার এসএইচও-কে।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply