শহীদ মিনারে সংহতি দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা প্রেরণ
“অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী; হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পারসিক মুসলমান খ্রিস্টানী”, ৬ই ডিসেম্বর সংহতি দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে মৈত্রীর মিলন মেলায় পরিণত হলো কলকাতার শহীদ মিনার।
HnExpress ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত, কলকাতা : আমরা জানি ৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস হিসেবে পালিত হয়। পাশাপাশি এই একই দিনে বাবা সাহেব ড: ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের মহাপরিনির্বাণ দিবসও। আবার এই দিনেই উত্তরপ্রদেশের বাবরী মসজিদ ভেঙে ধৰ্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তাই এককথায় বলাই যায়, ৬ই ডিসেম্বর হলো এক মহাঐতিহাসিক দিবস।
আর সেই দিনটিকেই স্মরণীয় করে রাখতে বুধবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কলকাতার শহীদ মিনার ময়দানে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক বিরাট সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
যেখানে এক মঞ্চ হতে হিন্দু, মুসলিম, খ্রীশ্চান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক সহ সমস্ত ধর্মের ধর্মগুরু বা পন্ডিতদের একত্রিত করে সমগ্র মানব সমাজের কাছে মৈত্রী, ভাতৃত্ব, একতা ও সৌহার্দ্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিনের মঞ্চ থেকে সমস্ত ধর্মগুরুরাই তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
মুখ্য অতিথি হিসেবে মঞ্চ আলো করে এদিন উপবিষ্ট ছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পর্যাটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, অশোকনগর এর বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগণার জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ন গোস্বামী সহ বিভিন্ন বিধানসভার বিধায়কমন্ডলী ও প্রশাসনিক অধিকারিকগণ।
সংহতির মঞ্চ থেকে গানের মধ্য দিয়ে একতার বার্তা দেন মন্ত্রী তথা সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অন্যান্য মন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দরাও। ঘনঘোর দূর্যোগের মধ্যেও ময়দান চত্বর জুড়ে সমস্ত জেলা থেকে আগত কর্মী সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল বেশ লক্ষণীয়। যদিও উত্তরবঙ্গ সফরের দরুন এ বছরের সংহতি দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে তিনি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মাধ্যমে সরাসরি ফোনে সবার উদ্দেশ্যে মৈত্রী, একতা ও সম্প্রীতির বার্তা দেন। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ও তার সফলতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইটাহারের বিধায়ক তথা সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি মোসারফ হুসেন এবং সংখ্যালঘু সেলের সদস্য তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী মুস্তাফেজ হাসমি।