প্রখর রোদ আর বৃষ্টি থেকে বাঁচতে পিছিয়ে পরা প্রান্তিক মানুষদের মাঝে ছাতা প্রদান

0

HnExpress ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত, কলকাতা : গত রবিবার সকালে বেলঘড়িয়ার কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর পক্ষ থেকে পিছিয়ে পরা প্রান্তিক মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হল রৌদ্র-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার অস্ত্র ‘ছাতা’। প্রখর গরমের থেকে রেহাই পেতে এবং বর্ষাকালে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে এই ছাতা প্রদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন প্রায় ৫০ জন প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে এই কর্মসূচি অনুযায়ী ছাতা প্রদান করা হয় বেলঘড়িয়ার “বিবেকানন্দ কালচারাল এসোসিয়েশন” এর পরিচালনায় এবং “মেঘ মল্লার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি”র যৌথ উদ্যোগ ও সহযোগিতায়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতি সুমন ঘোষ আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান, “আমরা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর মাধ্যমে সারা বছরই কিছু না কিছু সমাজ সেবা মূলক কর্মসূচি পালন করে থাকি, সমাজের পিছিয়ে পরা প্রান্তিক মানুষদের ও পড়ুয়াদের পাশে থাকার স্বার্থে। সারা বছরই আমরা কোনো না কোনো ভাবে মানুষের বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। পুজোয় জামা কাপড় দেওয়া থেকে শুরু করে, সারা বছরই পড়ুয়াদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করা, এলাকার স্থানীয় মানুষেরা বিপদে পরলে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। এমন বহু সামাজিক কাজ।

যেকোনো রকম বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।

একথায় বলা যায়, “শীতের কাঁথা থেকে বর্ষার ছাতা”, সব ধরনের সহযোগিতায় আমরা পাশে আছি, পাশে থাকবো। তিনি আরও বললেন, আগামী আর বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা বরানগরের রামমোহন অবৈতনিক বিদ্যালয়ে এবছরের মাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তির্ন পড়ুয়াদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করবো। পাশাপাশি বাকি সকল কৃতি ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদেরকেও শিক্ষা সামগ্রী উপহার দেওয়া হবে। আর সাথে থাকবে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন।”

আর তাদের আগামী ভবিষ্যৎ কর্মসূচির পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় তিনি বললেন, আগামী দিনে আমরা আরও বহু ধরনের নির্স্বাথ সেবামূলক কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টায় রয়েছি, যার মধ্যে খুব শীঘ্রই শুরু করতে চলেছি “রক্তদান-মহৎ দান”, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সচেতনতা শিবির, চক্ষু পরিক্ষা শিবির, সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফ, ক্যান্সার সচেতনতা শিবির প্রভৃতি। আমরা অসহায় মানুষের পাশে ছিলাম, আছি আর থাকবো। আর আমাদের একটাই স্লোগান, তা হল স্বামীজির বাণী —”বহুরূপে সন্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুজিছো ঈশ্বর, জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply