করম উৎসবের মাঝে প্রকৃতির উপাসনায় যেন সংস্কৃতির সাথে এক বৈজ্ঞানিক ভাবনা

0

HnExpress ২৯শে অগাস্ট, অরুণ কুমার, বিশেষ প্রতিবেদন ঃ বর্ষার বিদায়ের মুখে রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ নিয়ে সেজে ওঠে প্রকৃতির উপাসনায়। এবার যেন সবকিছুই ওলটপালট। তরাই, ডুয়ার্স, জঙ্গলমহল হয়ে সুদুর ঝাড়খন্ড জুড়ে কেবল নিয়ম পালন। তবুও যেন প্রাণের পরশের কোনো খামতি নেই তাতে। করম উৎসব এর মাঝে প্রকৃতির এই উপাসনায় যেন সংস্কৃতির সাথে যোগ হয়েছে এক বৈজ্ঞানিক ভাবনার মেলবন্ধন। সবুজের সমাহারে এগিয়ে চলে প্রকৃতি আপন গতিতে। তার মাঝেই চলে এল বর্ষার বিদায়ের মুখে সেজে ওঠা প্রকৃতির উপাসনা।

প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দেয় এই করম উৎসবের আগমনকাল।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ কৃষিকেন্দ্রীক উৎসব হল এই “করম পরব”। সমগ্র ছোটনাগপুর জেলা সহ উত্তরবঙ্গের তরাই ডুয়ার্স, অসম, প্রতিবেশী বাংলাদেশে মহাসমারোহে পালিত হয় শস্যের পুষ্টিদানকারী কার্যসূচীমূলক উৎসব এই “করম পরব”। প্রকৃতি পূজারী ছোটনাগপুরের বৃহৎ জনগোষ্ঠী কুড়মিসহ কোল, কড়া, ভূমিজ, বেদিয়া, মুন্ডা ইত্যাদি জনগোষ্ঠী তাদের নিজস্বতায় কৃষিভিত্তিক সৃজনশীল “করম” পরব মহাসমারোহে পালন করে।

অপরদিকে তরাই ডুয়ার্স অসম সহ এই অঞ্চল এর চা বাগানের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নারী, পুরুষ ও শিশুরা আনন্দে মেতে ওঠে। মূলত ভাদ্র মাসের চাঁদ অনুযায়ী শুক্লপক্ষে এই পরব উপলক্ষে দিনভর উপবাস থেকে এতে অংশ নেওয়ার নিয়ম পালন করা হয়। এখানেও করম পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকেই বন্দনা করা হয়ে থাকে। উপবাস অবস্থায় দিনের শেষে প্রকৃতির উদ্দেশ্যে ফুল, দূর্বাঘাস আতপ চাল ও ফল উৎসর্গ করা হয়। করম দেবতার আশীর্বাদে খরা, বন্যা ও সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলেই তাঁদের বিশ্বাস।

সব মিলিয়ে ডুয়ার্সের আদি বাসিন্দাদের এই পুজোর হাত ধরেই শারদীয়া উৎসবের সূচনা হয়ে যায় বলেই এই অঞ্চলের মানুষের অভিমত।
জানা গিয়েছে, করম পরবের অধিষ্ঠাতা দেবতা হলেন করম রাজা/করম গোঁসাই। সুপ্রাচীন কালে যখন কৃষি সভ্যতার বিকাশ ঘটে, তখন চাষবাসই ছিল মানুষের একমাত্র করম বা কর্ম। আর এই কৃষি কর্মের অধীশ্বর হলেন স্বয়ং কৃষি দেবতা শিব। তাই করম রাজা/ করম গোঁসাই বলতে এই শিবকেই বোঝানো হয়ে থাকে। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় করম।

শুক্লপক্ষের প্রথম দিন কুমারী মেয়েরা ডালায় বালি ভরে বিভিন্ন শস্যের দানা- যেমন, মুগ, কুর্তির, জোনার, রাহেড়, বুট, ধান, গম ইত্যাদি পুঁতে দিয়ে, একাদশী পর্যন্ত অঙ্কুরিত ছোট্ট চারা গাছগুলিকে হলুদ জলে রাঙিয়ে, প্রতি সন্ধ্যায় ডালাগুলিকে ঘিরে নৃত্য প্রদর্শন করে, এবং গাছগুলিকে ভক্তি সহযোগে বন্দনা করা হয়। একাদশীর সন্ধ্যায় করম ডাল গেঁড়ে করম রাজা/কৃষি দেবতা শিবের পূজা করা হয়। প্রত্যেকটি অবিবাহিত মেয়ের ডালায় একটি করে সুপুষ্ট ‘কাঁকইড়’ বা কাকড়ী থাকে।

আজকের ছোট্ট মেয়েটি পরবর্তীতে মাতৃত্ব লাভ করবে। তাই ‘কাঁকইড়’কে অবিবাহিত মেয়েদের সন্তানের প্রতীকরূপে ধরে, তাঁরা কিভাবে সন্তান লালন পালন করবে, আর কিভাবে নিজের সাথে সাথে সন্তানকে শারীরিক, মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে পারবে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ম পালন করা হয়। কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা, আদিবাসী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এক মহান, উদারতম এবং ঐতিহ্যপূর্ণ। সভ্যতার আদিলগ্ন থেকেই করম পরবের মাধ্যমে প্রকৃতির বাস্তবতার অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি।

করমে সারাদিন উপবাস করে বোনেরা, ভায়েরা। রাত্রিবেলা করম গোঁসাই এর বন্দনার সময় সে কিন্তু শুধু নিজের জন্যে আশির্বাদ চায় না। সমগ্র ভাইদের মঙ্গল কামনা করে। সুতরাং, করম পরবের মাধ্যমে এক মহান ভ্রাতৃত্ববোধের মধুর স্পন্দন সৃষ্টি করে। নারী শ্রদ্ধা ও মাতৃচেতনার উন্মেষ, আদিবাসী সমাজে মেয়েরা মাতৃরূপে পূজিত হয়। শিশুবয়স থেকেই প্রতিটি মেয়েকে আদিবাসীরা ‘মা’ রূপে কল্পনা করে থাকেন। যার প্রকৃত দৃষ্টান্ত এই করম পরবের মধ্যে পাওয়া যায়। অবিবাহিত মেয়েরা করমে ‘কাঁকইড়’কে (একধরনের কৃষি শস্য) সন্তানরূপে কল্পনা করে।

তাই ছোট্ট বয়স থেকেই তাদের মধ্যে মাতৃচেতনা বোধের বিকাশ হয়, যা পরবর্তীকালে নিজের সন্তানকে লালন-পালন এবং সমস্ত রকমের ঘাত প্রতিঘাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
শস্যবীজ অঙ্কুরোদ্গমের সূচনা ও কৃষি সভ্যতার জয়যাত্রা, আদিবাসীদের অধিকাংশ সম্প্রদায় বংশানুক্রমিক কৃষিজীবী। কিন্তু করম ডালাতে কোনও উর্বর মাটি না দিয়ে শুধুমাত্র ঝরঝরে বালি দেওয়া হয়। কারণ একদা কৃষিজীবীদের পূর্ব পুরুষরা নদী অববাহিকা অঞ্চলে, বালির মধ্যে শস্যবীজ অঙ্কুরোদ্গমের ঘটনা থেকে কৃষির উদ্ভব তত্ত্বের শিক্ষা লাভ করেছিলেন। সেই দিন থেকেই কৃষি সভ্যতার বিকাশ ঘটে ছিল। তাই জাওয়ার ডালিতে ঝরঝরে বালি দেওয়া হয়।

গাছের মধ্যে যে আছে প্রাণ করম পরব দেয় তার সম্মান। সুপ্রাচীন কালে কৃষি সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই করম পরব হয়ে আসছে। প্রকৃতিই যে একমাত্র প্রকৃত সত্য, সেটা কৃষিজীবী সম্প্রদায় সেদিনেই উপলব্ধি করে ছিল। তাই ‘জল, জঙ্গল, জমি’র সাথে সাথে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে গড়ে উঠেছে একটি আত্মার বন্ধন। তাদের বিশ্বাস গাছেরও যে আছে প্রাণ, সেটা আমাদের আদি পূর্ব পুরুষগণ অনেক অনেক আগে থেকেই উপলব্ধি করে ছিলেন। তাই জঙ্গল থেকে করম ডাল এনে ঘরের উঠানে গেঁড়ে, গাছের প্রাণের অস্তিত্ব স্বীকার করে, সম্মান জানিয়েছেন তাঁরা।

সেই রীতি আজও তার নিজস্বতা অটুট রেখেছে।
কথা উপকথায় কিংবদন্তী কথিত আছে যে, আদিবাসী ওঁরাও সম্প্রদায়ের ধর্মচর্চা অনুযায়ী, পুরাকালে একবার অগ্নিপ্রলয় হয়েছিল, লাভার মত আগুন ঠিকরে বেরোচ্ছিল চারদিক থেকে। সে সময় নায়েক ও সারেন নামের দুই ভাইবোন ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলে তাদের করম গাছের কোটরে আশ্রয় নিতে নির্দেশ দেন ভগবান। আগুনে সব পুড়ে ছাই হলেও করম গাছের কোন ক্ষতি হয়নি। রক্ষা পান নায়েক ও সারেনও। সেই থেকে প্রকৃতির পুজোর মূল কেন্দ্রে থাকে করম গাছের ডাল।

করম গাছকে রাজার মত সম্মান দেওয়া হয়। আদিবাসী সমাজের পুরোহিত অর্থাৎ পাহান নির্দিষ্ট রীতি মেনে করম ডালের পুজো দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় উৎসব। অন্যান্য কোনো গাছের ডালকে না এনে শুধুমাত্র করম ডালকে আনা হয়, তার একটি বিজ্ঞানসম্মত কারনও রয়েছে। করম গাছের ছায়া ও বাতাস মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ করে। করম -এর কিছু কথা, কিছু ব্যাখ্যা : করম গাছের ডাল ঘিরে এই পুজো মূলত প্রকৃতি বন্দনা। ধান সহ সমস্ত শস্য এবং চা বাগিচার ফসল যাতে ভাল হয় সেই কামনাতেই এই পুজো করা হয়।

এই ফলদায়ী গাছটি পাতাঝরা অর্থাৎ শীতকালে সব পাতা ঝরে পড়ে। এই গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর ছাল ছড়ালে শরীর থেকে হলুদ বর্ণ ভেসে আসে। এই জন্য এই গাছটি ‘হলুদ’ নামেও পরিচিত। এই বৃক্ষের উচ্চতা সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ হাত। হলদে অর্থাৎ স্বর্ণাভ হওয়ায় দেখতে আকর্ষণীয়। তাই গাছটি আদিবাসীদের কাছে শ্রীবৃদ্ধি, ক্ষমতা, যৌবন ও কৃষি বিকাশের প্রতীক। লোকের বিশ্বাস, এই গাছের পুজো করলে যৌবন ধরে রাখা যায়। এই বিশ্বাসের মধ্যেই লুকিয়ে আছে করম পরব সূচনার উপকথা। করম পুজোয় মূল ভূমিকা থাকে কুমারী মেয়েদের, যারা সুন্দর যৌবন ভরা স্বামী কামনা করতেই পারেন।

বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই পরব শুরু হয়েছিল সুন্দর যৌন জীবনের জন্য। তাছাড়া করম গাছের শরীরের হলদে রং যা বিয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বিয়েতে গায়ে হলুদ দেওয়ার রীতি আছে আদিবাসী সমাজেও। সাধারণত ভাবে যৌবন রাত্রে সক্রিয় থাকে, তাই পরবের পুজো সন্ধ্যায় শুরু করে রাতেই শেষ করে দিতে হয়।বিয়ে এবং সন্তান জন্মানো প্রকৃতির এক সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়া, তাই অঙ্কুরিত বীজ ফসল সৃষ্টির কথাই বলে। যতদূর সম্ভব, কোন এক সময় ‘কদম’ উচ্চারণ আদিবাসী উচ্চারণে সেটা ‘করম’ বা ‘করমা’ হয়ে যায়।

স্মরণীয় করম গাছ আসলে বনকদম্ব বা কদম। অর্থাৎ কদম = করম। লক্ষ্যণীয়, কদম শব্দের মাঝের ‘দ’ উঠে গিয়ে সেটা ‘র’ ধ্বণি হয়ে গেছে। আবার এই করম কর্ম বা কাজকেও বোঝায়।কর্ম ও ধর্মের গুরুত্ব বেড়ে যায়। যৌবনের সঙ্গে কৃষিকর্ম যোগ হয়ে যায়। এর ফলে করম ও ধরম -এর উপখ্যান যোগ হয়। এরূপ বিবর্তন অন্যান্য পুজোতেও দেখা যায়। যেমন, দুর্গাপূজা মুলত শুরু হয়েছিল রাজা-সৈনিকদের শক্তি আরাধনায়, আজ দেবী হয়েছেন দুর্গতিনাশিনী। শক্তিদেবী থেকে সর্বমঙ্গলাদেবী। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পরিবর্তন এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সুন্দর যৌনজীবনের আরাধনা হচ্ছে করম পরবের মূল কথা, তা তাদের বিভিন্ন নাচে গানের মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে।

তবে পুজোর যে মূল আধার করম গাছ সেই গাছই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে বলে উদ্বেগে ভুগছেন পুজোর আয়োজকেরা। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সহ সভাপতি তেজ কুমার টোপ্পো মালবাজারের করম পুজোর অন্যতম আয়োজক। তাঁর কথায়, ‘‘করম গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। সরকারি তরফে দ্রুত নার্সারির মাধ্যমে এর সংরক্ষণ প্রয়োজন। আমি রাজগঞ্জ ব্লক থেকে দুবছর আগে করম গাছের একটি চারা খুঁজে বাড়িতে লাগিয়েছিলাম। সেই গাছের ডালেই এবার পুজো হবে।’’ এবার ডুয়ার্স এর চা বাগানের এই উৎসব নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।

প্রধানত ওরাওঁ, মুন্ডা, সাঁওতাল, খারিয়া প্রমুখ আদিবাসীদের সবচেয়ে বড়ো পরব এই করম বা করমা। বর্তমানে পরব উৎসবের রূপ নিয়েছে।
আর রাজ্য সরকা ও এই দিনটিকে সরকারি ছুটি রুপে ঘোষণা করেছে। তার ফলে এই সময় চা বাগানের আদিবাসীরা সকলেই খুশির আনন্দে মেতে ওঠে। জানা গিয়েছে, শুভদিন মেনে এদিন মেলা প্রাঙ্গণে বিয়েও করেন অনেক আদিবাসী যুবক যুবতী। এই উৎসব ভাদ্র মাসের পুণ্য জোৎস্না একদশী তিথির রাত্রে পালন করা হয়।বিভিন্ন গাছপালার ডালপালা সহযোগে বেদি বানিয়ে রাতভর চলে করম দেবতার পুজো।

সন্ধ্যায় করম বন্দনা ও পুজো শেষে সারা রাত ধরে চলে নাচ। ধামসা মাদলের তালে সেই নাচে ছোট বড় সকলেই পা মেলান। করম আসলে প্রকৃতির বন্দনা। এছাড়াও আমার নিজস্ব প্রত্যক্ষ একটি প্রমাণ রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই প্রতিনিয়ত আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, কোনও ব্যক্তি কোন গাছে ওঠার আগেই গাছটিকে প্রণাম করে উঠে, আবার নামার পরে প্রণাম করে যায়। এটি গাছের প্রাণের প্রতি অসীম শ্রদ্ধার দৃষ্টান্ত স্হাপন করে আমাদের মাঝে।
অবশেষে বলতে হয়, এমন প্রকৃতি পূজারী, বাস্তববাদী, বৈজ্ঞানিক যুক্তিভিত্তিক, কৃষ্টিচারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ও তাদের জীবন যাপন, সংস্কৃতি উৎসবের স্বাক্ষী হতে পেরে আমরা গর্বিত এবং অভিভূত।

আমার দৃষ্টিতে ও উপলব্ধিতে এটি একটি ছোট্ট উপস্থাপনা মাত্র, যদিও এই লেখা ত্রুটি মুক্ত নয়, সেই দায় সম্পূর্ণ আমার, সময়, স্থান ও তথ্যের অপ্রতুলতার জন্য অসম্পূর্ণতা থেকে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এর জন্য পাঠক-পাঠিকা আমায় মার্জনার দৃষ্টিতে দেখবেন ও আমার ত্রুটি সংশোধন করতে সাহায্য করবেন, যাতে ভবিষ্যতে আপনাদের আরও ভালো লেখা উপহার দিতে পারি। অবশেষে উল্লেখ করতে হয়, এবছর একদিকে করোনা মহামারীর প্রতিরোধে সবকিছু কেমন যেন ওলট পালট।

তাই এই বছর সামাজিক দূরত্ববিধি ও রীতিনীতি মেনে “করম পরব” পালন করেছে উত্তরবঙ্গের আদিবাসীরা, এটা সত্যিই একটা খুব ভালো প্রয়াস। সচেতনতা বোধ জেগে উঠেছে তাদের মধ্যেও। একথা বলতে কোনো দ্বিধা নেই, “করম উৎসবের এই প্রকৃতির উপাসনা এ যেন সত্যিই এক সংস্কৃতির সাথে প্রকৃতির বৈজ্ঞানিক ভাবনা। তবুও রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ নিয়ে আসা বৈচিত্র্যময় এই পরবে যেন প্রাণের পরশ প্রবাহমান। আসুন আমরা এই প্রকৃতির প্রতি আরও বেশি যত্নবান হতে অঙ্গীকারবদ্ধ হই।”

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply