Madhyamgram : স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর, টুকরো করা দেহাংশ উদ্ধার

0

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, মধ্যমগ্রাম : স্ত্রীকে হত্যা করে এক এক জায়গায় দেহাংশ ফেলে বডি গায়েব করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। নিজের স্ত্রীকে হত্যা (Murder) করে তার দেহের ১৮টি টুকরো করে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ফেলে আসে অভিযুক্ত। এই নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে (Madhyamgram)। খুনের ৭ দিন পর গঙ্গানগর (Ganganagar) কাটাখাল থেকে মৃতার দেহের একাংশ উদ্ধার করে মধ্যমগ্রাম থানা। পুলিশের দাবি, নিজের স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করে কেটে খালের জলে ফেলে দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ছিল। কিন্তু পরে ধরা পড়ার ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত নুরউদ্দিন মণ্ডল (৫৫)। এখন তিনি বারাসত (Barasat) হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকায়।

দিন কয়েক আগে স্ত্রী সায়রা বানু (Sayera Banu) নিখোঁজ হয়ে গেছে বলে মধ্যমগ্রাম থানায় ডায়েরিও করেছিল নুরুদ্দিন মন্ডল (Nuruddin Mondal) ও তার পরিবার। তারপর পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পারে কুপিয়ে খুন করে পাশের খালের জলে ফেলে দিয়েছে নিজেই। মধ্যমগ্রাম (Madhyamgram) থানার রোহান্ডার খালের ভেতর থেকেও পুলিশ ওই মৃত মহিলার বেশ খানিকটা দেহাংশ উদ্ধার করেছে। বর্তমানে নজরবন্দি অবস্থায় নুরউদ্দিন মণ্ডল বারাসত (Barasat) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে ঘটনা সম্পর্কে মৃতার মেয়ের দাবি, “আমার বাবা এবং মায়ের মধ্যে প্রায়ই বিবাদ লেগে থাকত। সম্প্রতি একটি জমি কেনা নিয়েও তুমুল বাকবিবাদ হয়। তারপর থেকেই হঠাৎ করে মায়ের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মা কোথাও গেলে সাথে ফোন নিয়ে যেত। কিন্তু সেদিন বাবা মায়ের ফোন নিয়ে এসে বলে, মা বোধহয় ফোন নিয়ে যেতে ভুলে গেছে। ওটা সুইচ অফ করে দে। কিন্তু আমি ফোনটা ধরতেই দেখি তাতে রক্ত (blood) লেগে। আর এতেই আমার কেমন সন্দেহ হয়। এরপরেই বিষয়টি আমার স্বামীকে জানাই।”

তারপরে আমার স্বামী আর বাবাকে নিয়ে থানায় (Police Station) যাই। সেখানে মায়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করি। এদিকে বাবার কথাবার্তায় আমরা কেমন যেন একটা অসংলগ্নতা লক্ষ্য করছিলাম। কেমন একটা অস্বাভাবিক আচরণ। পুলিশ বিষয়টির তদন্তে আসার পরপরই আমার বাবা গায়েব হয়ে যায়। পরে একটা নম্বর থেকে ফোন আসে আমার বাবা অসুস্থ বলে। সেখান থেকে বাবাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়

মৃতার মেয়ে আরও জানায় যে, বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে সে নিজেই মায়ের খুনের কথা স্বীকার করে। আমাকে বলে, মাকে খুন (Murder) করে একটি গাড়িতে দেহের টুকরোগুলো ফেলে দিয়েছে। আমার মাসিকে আবার বলেছে গলা কেটে খালে দেহ ফেলে দিয়েছে। আমার ছোট দাদাকে আবার অন্য কথা বলেছে।

এক একজনকে একেক রকম কথা বলেছে আমার বাবা। বলছে আমি হাট থেকে ছুরি কিনে নিয়ে এসেছিলাম খুন (Murder) করবো বলে। তবে এটা সত্যি যে, আমি নিজে দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে ছুরি কিনে নিয়ে এসেছিল। যদিও ওই ছুরিটা এখনও পাওয়া যায়নি। যেদিন খুন হয়েছে সেদিন আমাদের বাড়ির এখানে পিকনিক চলছিল। ফলে পিকনিকে যারা ছিল, তাদের উপরও আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ (Madhyamgram Police Station)।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply