দুয়ারে সরকার, যখন মানুষের দরকার—
HnExpress অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, বারাসাত ঃ এ যেন প্রকৃতপক্ষেই দুয়ারে সরকার, যখন মানুষের দরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় দুয়ারে ও পাড়ায় এসেছে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা। সাধারণ মানুষ নিজের পাড়ায় আয়োজিত ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা নথিভুক্ত করতে পেরেছেন। বিরোধী দল যাই বলুক না কেন, এই কর্মসূচির ফলে উপকার পেয়েছেন সাধারণ মানুষ, এমনই পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূলের স্পোক পার্সন তথা বারাসার পৌরসভার পৌর প্রশাসক সুনীল মুখার্জী, সাথে ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার সদস্য ও সর্ব ভারতীয় স্পোক পার্সন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
বুধবার বারাসত পৌরসভার হলে এদিন সুনীল মুখার্জী পরিসংখ্যান তুলে বলেন, শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির পঞ্চম ধাপে এসে ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৫৭ জন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। খাদ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় এসেছেন ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৯৮ জন। কাস্ট সার্টিফিকেট পেয়েছেন ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৪১ জন। অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজে নথিভূক্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ৭১ জন। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় এসেছেন ৭৮ হাজার ৪৩ জন। কন্যাশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৪০১ জন। রূপশ্রী পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৬৩ জন।
আবার, শিক্ষাশ্রী পেয়েছেন ২ হাজার ৮০২ জন, তপশিলি বন্ধু প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৮ জন, মানবিক প্রকল্পে ২ হাজার ১৫২ জন ও জয় জোহার প্রকল্পে ৬৮ জন মানুষ নাম নথিভুক্ত করেছেন। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় স্পোক পার্সেন ডেরেক ও’ব্রায়েন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সাংবাদিকদের নানান সমস্যার কথা শোনেন। অতিমারী করোনা, লকডাউন উপেক্ষা করে সাংবাদিকরা যেভাবে মাঠে ময়দানে নেমে পরিস্থিতির সামনে থেকে দাঁড়িয়ে কাজ করে গেছেন এবং এখনো যাচ্ছেন তাদের তিনি ভূয়সী প্রশংসাও করেন।
তিনি জানান সরকার এবং তাদের দল সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম এর পক্ষে। তাই তাঁরা যেন সাধারণ মানুষকে সঠিক তথ্য আগামী দিনে তুলে ধরেন। তবে বাংলার আগামী ভোট রাজনীতি যে উত্তপ্ত পরিবেশের মধ্যে দিয়েই সংঘটিত হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।