মধ্যমগ্রাম “সঙ্গীতাঙ্গন” এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ” সারা বাংলা ব্যাপী বাউল শিল্পী সংবর্ধনা

0

HnExpress সৌমাল্য মৈত্র, মধ্যমগ্রাম ঃ সঙ্গীতাঙ্গন মধ্যমগ্রামের বহু সু-পরিচিত এক প্রাচীন সঙ্গীত বিদ্যালয়। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার নজরুল শতবার্ষিকী সদনে “সারা বাংলা ব্যাপী বাউল শিল্পী সংবর্ধনা” অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন উপস্থিত ছিলেন বাউলশিল্পীরা। এদিন তাদের প্রত্যেকের হাতে মানপত্র ও স্মারক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাউলেরা তাদের অভিব্যক্তিও প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ছিল, সদ্য নিউ ইয়র্ক থেকে ফেরা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাউল গনেশ চন্দ্র রায়ের জীবনের ওপরে লেখিকা মৌমিতা পালের লেখা “আদি বাউল ও প্রবাসে বাউল” নামক ব‌ইয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে। যার আনুষ্ঠানিকগত ভাবে শুভ উন্মোচন করেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুর প্রশাসক ও বিধায়ক রথীন ঘোষ। অনুষ্ঠানে সমস্ত বাউলশিল্পীদের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন রথীন ঘোষ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত বাউলশিল্পীদের জন্য অভিনভ সব প্রচেষ্টা নিয়ে চলেছেন।

তিনি আরও বলেন, বাউলদের পরিচয় পত্র হিসেবে তাদের কার্ডও করে দেওয়া হচ্ছে। এদিন লেখিকা মৌমিতা পাল তাঁর এই সাহিত্য জগতে পথ চলা কি ভাবে শুরু হয়েছিল সেই কথাও তুলে ধরেন। এরই পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট বাউল গনেশ চন্দ্র রায় বলেন, আগামী দিনে তাঁর ইচ্ছা সারা বাংলাতেই বাউল গানের বিপুল পরিমাণ প্রচার ও প্রসার ঘটানোর। আর তারই ফলস্বরূপ এই ছোট্ট প্রয়াস।

তিনি আর‌ও বলেন, ভবিষ্যতে তাঁর গানের স্কুল সঙ্গীতাঙ্গনের মাধ্যমে আর‌ও বেশি করে বাউল গানের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান। অন্যদিকে লেখিকা জানান যে, ভবিষ্যতে তিনি আর‌ও বেশি করে বাউলদের নিয়েই কাজ করতে চান। এবং এদিনের ব‌ই প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাউলদের নিয়েই তাঁর এই চর্চা, এই গবেষণা অব্যাহত থাকবে।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply