ফের শহর কলকাতার বুকে দেখা গেল এক মানবিক মুখ

0

HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ, কলকাতা : ফের শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে দেখা মিললো এক মানবিক মুখের। কর্ম সূত্রে নৈতিক কর্তব্য তো সবাই পালন করেই থাকে। কিন্তু কাজে কর্তব্যরত অবস্থায় বিপদগ্রস্থ পথচারীর প্রাণ রক্ষায় এগিয়ে আসে সিকিভাগ মানুষ। শুক্রুবার অনুমানিক সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ এমনই এক মানবিক কর্তব্যের সাক্ষী রইল মহানগর। এদিন মহাত্মা গান্ধী রোডের মোড়ে কর্তব্যরত ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইন্সপেক্টর শৌভিক চক্রবর্তী (shobhik Chakraborty, OC inspector) এবং সার্জেন্ট সমরেশ ঘোষ (Samresh Ghosh, Surgent)।

ঠিক সেই সময় একটি ছেলে তাঁদের দিকে এগিয়ে এসে জানায়, অত্যন্ত অসুস্থ বোধ করছে সে। ছেলেটি দরদর করে ঘামছে দেখে তাঁকে দ্রুত জল এবং ওআরএস-এর ব্যবস্থা করে দেন শৌভিক চক্রবর্তী (Shobhik Chakraborty, OC)। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হওয়ার বদলে হটাৎই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছেলেটি। পরে জানা গেছে ছেলেটির নাম আল আমীন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তিনি হাওড়ার উলুবেড়িয়ার (Howrah, Uluberia) স্থায়ী বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শ্যামবাজার এলাকায় কাজ করেন তিনি। বেশকিছু দিন ধরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদিন সকালে এক স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধও খান। এবং তারপর থেকেই তিনি আরও বেশি অসুস্থ অনুভব করেন।

সান্ধ্য ট্রাফিকের চূড়ান্ত ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও সার্জেন্ট সমরেশের (Samaresh, Surgent) সাহায্যে ছেলেটিকে নিজের গাড়িতে তোলেন ওসি শৌভিক (Soubhik, OC)। হাতে সময় নেই, ফলে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন শৌভিক নিজেই। হাসপাতালের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে ছেলেটির ভর্তিরও ব্যবস্থা করেন তিনি, যোগাড় করে পৌঁছে দেন জরুরি সমস্ত ওষুধপত্রও।

প্রাথমিক চিকিৎসার পর জ্ঞান ফিরলে ওসি ইন্সপেক্টর শৌভিক (Soubhik, OC Inspector) তাঁর বাবার ফোন নম্বর জানাতে চায়। ছেলেটি নাম্বার দিলেই তড়িঘড়ি তাঁর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন ওসি ইন্সপেক্টর। যার ফলে হাসপাতালে কিছুক্ষনের মধ্যেই হাজির হন আল আমীনের বাবা। এদিন রাত দশটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় সে।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, একদম ঠিক সময় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসায় নিশ্চিত মৃত্যু এড়াতে পেরেছেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের (Howrah Bridge Traffic Guard) মানবিক কর্তব্যপরায়ণতা। সাক্ষ্যাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ছেলের প্রাণ রক্ষা করার জন্য কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ এবং ওসি ইন্সপেক্টর শৌভিক চক্রবর্তীকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আল আমীন ও তাঁর বাবা।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply