জয়ের আসন থেকে দলের বেশীর ভাগই বাদ না গেলেও, ছাপ্পা ভোটের বদনাম সেই শাসক দলের উপরেই

0


HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, বিধানগর ঃ “বাদ গেলো না কেউ” কথা শুনে অবাক হওয়ার কিছুই নেই, অন্তত যারা তৃণমূল কংগ্রেস করেন তাঁরা অন্তত। খারাপ খবর নয়, অন্তত রাজ্য সরকারের তরফে। বেশির ভাগ জায়গাতেই জয়লাভের তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সৈনিকরা এগিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জয়ের আভাস পেয়ে আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি ও চন্দননগরের মানুষকে টুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।

আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা। গত ২২শে জানুয়ারি আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরের চার পৌরনিগমে ভোটগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। ভোট পিছিয়ে ১২ই ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করে দেয় হাইকোর্ট। কারন রাজ্যের করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে কিভাবে ভোট হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী দলগুলি ও বিশেষজ্ঞ মহল।



আজ সেই চারটি পুরনিগমের ভোটের ফলাফলে চন্দননগর পুরভোটে সবুজ ঝড় তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩২টি আসনের গণনা হয়েছে আজ। সেখানে ৩১টি আসনই জিতে নিয়েছে তৃণমূল। বামেদের দখলে গিয়েছে ১টি আসন। বিজেপি চন্দননগর পুরভোটে কার্যত মুছে গিয়েছে পুরোপুরি। বিদায়ী পুরবোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী জয়ী হয়েছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। তাঁর কথায় “মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প পুরসভার মাধ্যমে আমরা রূপায়িত করেছি। তার সুবিধা মানুষ পেয়েছেন।

চন্দননগরবাসীকে ধন্যবাদ তাঁরা আবার আমাদের সেবা করার সু্যোগ করে দিয়েছেন নির্বাচনের মাধ্যমে। বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি আছে, সেগুলো আগামী দিনে বাস্তবায়িত করা হবে বলে তিনি জানান।” চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন বলেন, “মানুষকে আরও পরিষেবা ও আরও উন্নয়ন প্রদান করবো। কে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তাই নিয়ে আমরা চিন্তিত নন। এক থেকে দশই তৃণমূলের”।

বিধাননগরের ৪১ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩৯টি, কংগ্রেস ও নির্দল ১টি করে আসন পেয়েছে। আসানসোলের ১০৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৯১টি, বিজেপি ৭টি, বামেরা ২টি, কংগ্রেস ৩টি ও নির্দল ৩টি আসন পেয়েছে। আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে টসে জিতেছে তৃণমূল প্রার্থী। চন্দননগরে তৃণমূলের দাপুটে জয়ে সবুজ আবির মেখে ডিজে বাজিয়ে রাজপথে মিছিল বের করে শাসক দল।

অন্যদিকে খলিসানীতে তৃণমূল অফিসে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, এবার নির্বাচনে ২২ জনই নতুন মুখ। শাসক দলের জয়জয়কার হলেও বিরোধীদের ঠিক যে সুরাহা হয়নি তা বেশ ভালোই বোঝা যায়। ফলে ছাপ্পা ভোটের বদনাম শাসক দলের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের।



ভোট চলাকালীন বিধাননগর পুরনিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তীর অভিযোগ তার স্বামীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। বুথে ছাপ্পা ভোট হওয়ার খবর শুনেই বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর স্বামী গিয়ে প্রতিবাদ করতেই বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করে মাথা ফাটানো হয়। তাঁর গলাও নাকি টিপে ধরা হয়েছিল। তাদের আরও অভিযোগ যে পুলিশ সব দেখার পরও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply