সিসিটিভি নিয়ে ফের বিতর্কিত প্রশ্নে জড়ালো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

0

HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, কলকাতা ঃ যাদবপুরে (Jadavpur) ছাত্রের মৃত্যুর হট্টগোলের মাঝেও এসএফআই ফের আগের মতই প্রকাশ্যে দাবি করল যে, বিশ্ববিদ্যালয় (University) চত্বরে তারা সিসিটিভি চায় না। এই দাবি নিয়েই কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

যেখানে ইউজিসি-র নির্দেশিকা মেনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি (CCTV) বসানো হয়েছে, কেন যাদবপুর সেই আওতার বাইরে থাকবে? ইতিমধ্যে সেই প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু রক্ষা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ও বর্তমান পরামর্শদাতা অনন্যা চক্রবর্তী।

বাস্তব চিত্রটা হল যে, প্রতিষ্ঠানের এসএফআই ছাত্র সংগঠনের আপত্তি উপেক্ষা করে ২০১৭ সালে যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন তৎকালীন উপাচার্য ডঃ অভিজিৎ চক্রবর্তী। শেষ পর্যন্ত ‘হোক কলরব’ -এর জেরে তাঁকে বিদায় নিতে হয়। যাদবপুর ক্যাম্পাসে (Jadavpur campus) সিসিটিভি ক্যামেরা নেই কেন, এই প্রশ্ন তুলে পুলিশও জানতে চায়, কীভাবে দায় এড়াতে পারে কর্তৃপক্ষ?

বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই কর্মী তথা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পড়ুয়া শৌর্যদীপ্ত রায় প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “সিসি ক্যামেরা থাকা মানেই যে র‌্যাগিং (Ragging) হবে না, তা নয়। সিসি ক্যামেরা থাকা সত্বেও অনেক জায়গায় র‌্যাগিং হচ্ছে। সুতারাং র‌্যাগিং বন্ধ করার বিজ্ঞানসম্মত পথ বার করে তা রূপায়িত করতে হবে।”

কিন্তু এটা তো সিসি ক্যামেরা (CC Camera) না বসানোর যুক্তি হতে পারে না। পুলিশই তো সর্বত্র নিরাপত্তর জন্য এই ক্যামেরা বসাতে বলছে। পুলিশি উদ্যোগেও সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে শহরের বিভিন্ন রাস্তায়। অনেক ক্ষেত্রে এই ক্যামেরা অপরাধের কিনারায় সহায়ক হচ্ছে। তাহলে এসএফআই-এর আপত্তির কারণটা কী?

শৌর্যদীপ্তর জবাব, “ওই তো যা বললাম, সেটাই উত্তর!” কিন্তু নির্দিষ্ট উত্তর তো কিছু পেলাম না! ইউজিসি (UGC) যখন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং গোটা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মেনে নিয়েছে, যাদবপুর মানবে না কেন? শৌর্যদীপ্তর জবাব, “আর নতুন করে কিছু বলার নেই আমার।”

এই অবস্থায় কী ভাবছে বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)? এ বিষয় সংগঠনের প্রাক্তন শাখা সম্পাদক এবং মেস কমিটির প্রাক্তন অন্যতম সুমন চন্দ্র দাস আমাদের প্রতিবেদককে বলেন যে, “আমরা কিন্তু বরাবরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সিসি ক্যামেরা বসানোর পক্ষপাতি।

কিন্তু এখানে ক্ষমতার লড়াইটা মূলত লাল বনাম অতি লালের মধ্যে। যে কারণে আমাদের দাবি যথাযথ গুরুত্ব পায় না। ২০১৯ -এ এখানে ছাত্র সংগঠনের ভোটের সময়েও আমরা সিসি ক্যামেরা (CC Camera) বসানোর জন্য দাবি রেখেছিলাম। কিন্তু অন্য সকলেরই বিষয়টায় একটা অনিচ্ছা প্রকাশ্যে এসেছিল।”

এই র‌্যাগিং (Ragging) প্রসঙ্গে যাদবপুরের কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শুভায়ন আচার্য মজুমদার বলেন, “সুপার হিসেবে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের অবিলম্বে বদল করা হোক। এক শ্রেণির আবাসিকের চাপে অথবা ভয়ে এঁরা সঠিক কাজ করতে পারেন না।”

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply