প্রথম ভোট প্রচারে গিয়ে আহত মুখ্যমন্ত্রী, ষড়যন্ত্র এর আঙ্গুল বিজেপির দিকে
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, নন্দীগ্রাম ঃ এক নয় একাধিক বার বিরোধী দলনেত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তবে এবারে শুধু হেনস্তা নয়, নন্দীগ্রামে নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে আহত হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবী বিজেপি রীতিমতো ষড়যন্ত্র করেই এ কাজটি করেছে। মনােনয়ন জমা দেওয়ার দিনই নতুন জায়গায় প্রচারের কাজ শুরুতেই আহত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আহত অবস্থায় কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। ভোটের জন্য নন্দীগ্রামে নির্বাচনের জন্য হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। তারপর আবারও নন্দীগ্রামে যান। সেখান বিভিন্ন মন্দির ঘুরে পুজো দেন তিনি। সেখানে সারাদিনই প্রচার কাজের জন্য ব্যস্ত ছিলেন। আজ বুধবারে নন্দীগ্রামেই থাকার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু চোটের কারণে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতাতে ফেরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুত্রের খবর, বিকেলে নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে নাম-সংকীর্তনে যোগ দিয়ে ফেরার সময় গাড়ির দরজায় ধাক্কায় পায়ে চোট লাগে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই কয়েক জন তাকে ধাক্কা মারে। ভিড়ের মধ্যে আচমকা ধাক্কা দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে যাই আমি। কপালে ও মাথায় আঘাত লাগে। আঘাত লাগে বাঁ পায়েও। গাড়ি দরজা গিয়ে পায়ে লাগে। ফলে পা ফুলে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসায় বরফ লাগানোর পরও যন্ত্রণা না কমলে, কলকাতায় ফিরে আসবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
চোট পাওয়ার ঘটনার কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাকে ধাক্কা মারার সময় সেই জায়গায় কোনও পুলিস আধিকারিক ছিল না। ছিল না পুলিস সুপারও। এ বিষয় নির্বাচন কমিশনেও তিনি অভিযোগ করবেন বলে জানা যায়। অন্য দিকে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ‘হারবেন বুঝে নাটক করছেন মমতা।’ এরপর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত টুইট করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চাইলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাঁর নিরাপত্তা দেবে।’
এছাড়া উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদীর পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, তেজস্বী যাদবরাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। ইতিমধ্যেই বুধবার সন্ধে থেকেই শোভাবাজার, বেলুড়, হাওড়াতে তৃণমূলের পথ অবরোধ বিক্ষোভ শুরু হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের বিরুলিয়াতেও বিজেপি কর্মীরা পথ অবরোধে নেমে পড়ে সন্ধে পর থেকেই।
তাঁদের দাবি, রাস্তায় লাগানো লোহার রডে পা লেগেই আহত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই ঘটনাতে তাদের কোনও ষড়যন্ত্র নেই। আর এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজ নিতে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু তাঁকে দেখেই ‘গো ব্যাক ধনখড়’ স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা।পাশাপাশি ‘দিদি তোমার পাশে’, ‘মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতেও দেখা গিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে।