অসহ্য যন্ত্রণাকে রেয়াত না করেই দলের কর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ, খুব তাড়াতাড়ি ফিল্ডে ফিরতে চান মুখ্যমন্ত্রী

0

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ পায়ের চোটে অসহ্য যন্ত্রণা কিন্তু সেই দিকে নজর না দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষকে শান্ত, সংযত থাকার অনুরোধ করলেন। হাসপাতালে বেডে শুয়েই ভিডিও বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগামী দিনের সমস্ত কর্মসূচী যথারীতি পালিত হবে। কয়েক দিন হয় তো হুইলচেয়ারে থাকতে হবে। এর জন্য সকলের সহযোগিতা লাগবে। পায়ের সমস্যা থাকলেও ম্যানেজ করে নেব। দু-তিন দিন পরেই ফিরবো দলীয় কর্মসূচীতে।”

বুধবার মনােনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিনই নতুন জায়গায় প্রচারের কাজ শুরুতেই আহত হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আহত অবস্থায়তেই কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। চোটের কারনে পায়ের গোড়ালিতে প্রচন্ড ব্যথা রয়েছে বলে জানা যায়। বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে জানা যায় রক্তে সোডিয়ামের মাত্রাও কম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। পরীক্ষার টেস্ট রিপোর্টের ভিত্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, কারণ অনেক আগে থেকেই হাই ব্লাড সুগার আছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর আরও বেশ কিছু রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। তবে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আট রকমের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুটি পা এর মধ্যে বাম দিকের পা ফুলে রয়েছে। গতকাল রাতে এমআরআই-এর পর পায়ে টেম্পোরারি প্লাস্টার করা হয়েছে। এছাড়া দ্রুত সুস্থতার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীকে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তিন বিভাগীয় প্রধান ও আরও পাঁচ বিশেষজ্ঞ ছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডে। এছাড়াও ছিলেন অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি, নিউরো মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, কার্ডিওলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, জেনারেল মেডিসিন এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞরা।

মেডিক্যাল বুলেটিনে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পায়ের গোড়ালি ও পাতার হাড়ে চিড় ধরেছে। ইতিমধ্যে প্লাস্টার করা হয়েছে। তবে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে তাঁর পায়ে। ইতিমধ্যেই উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের একের অধিক প্রান্তে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা৷ তবে অশান্তির সৃষ্টি না করেই কলকাতা শহর থেকে জেলা, প্রায় সর্বত্র জায়গায় প্রতিবাদে সামিল হন দলীয় সমর্থকরা। 

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply