December 11, 2024

মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোটকে ঘিরে এবার সিআইডি তদন্ত, নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিবেক সহায়’কে সাসপেন্ড করল কমিশন

0
Img 20210323 Wa0002.jpg
Advertisements

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট পাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে এবার তদন্তে নামতে চলছে সিআইডি। কিছু দিন আগে আসন্ন বিধানসভা ভোট উপলক্ষে হলদিয়া মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন পত্র জমা করতে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সোনাচূড়া মন্দিরে পুজো দেন এবং এরপর নন্দীগ্রামের রানিচকের একটি মন্দিরে হরিনাম সংকীর্তনে অংশ নিয়ে বেরনোর সময় আহত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি।

গুরুতর চোট পাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে ছিলেন, ‘‘ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল।’’ বিরোধিদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁকে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরা সব সময় ঘিরে থাকেন। ফলে নিরাপত্তা সত্ত্বেও কী ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছাকাছি ভিড় পৌঁছে গিয়ে তাঁকে ধাক্কা দিল?

এই কথা উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে মিশতে পছন্দ করেন। সেই সুযোগ নিয়ে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের অধীনে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তা নেওয়া হয়নি। পুলিশ এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রীর ক্ষেত্রে যদি এমন হয় তা হলে বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং ইঙ্গিতবাহী। যাঁরা নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপস্থিতি চান না ও যাঁরা তাঁর উপস্থিতিতে ভীত তাঁরাই এমন কাজ করবেন।

চক্রান্ত করে না হলে এমন ঘটনা ঘটত না।’’ এদিন এই চোট পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিআইডি তদন্ত শুরু করা হয়। অনুজ শর্মার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। সিআইডি সূত্রে জানা যায়, রবিবার কিংবা সোমবার ঘটনাস্থলে যাবেন সিআইডির অফিসাররা। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। এরই পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে স্থানীয় বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় পুলিশের সঙ্গেও কথা বলবেন আধিকারিকরা।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিবের থেকেও রিপোর্ট তলব করে কমিশন। কিন্তু, সেই রিপোর্ট ঘটনার উপর সঠিক ভাবে আলোকপাত করতে পারেনি বলেও জানায় কমিশন। এর মাঝেই সরিয়ে দেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিএম ও এসপি’কে। বিবেক দুবের রিপোর্ট অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিবেক সহায়কে সাসপেন্ড করল কমিশন। 

Advertisements

Leave a Reply