জলমগ্ন রাস্তা সারাইয়ের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের চরম হুঁশিয়ারি

0

HnExpress নিজস্ব সংবাদদাতা, মগরাহাট ঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মগরাহাট-১ ব্লকের কালিকাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত সন্নিকটস্থ মূল সড়কে জল জমে থাকায় যাতায়াতের পথে চরম সমস্যার সম্মুখীন এলাকার প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ। তাই জলমগ্ন রাস্তা সারাইয়ের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য চরম হুঁশিয়ারি দিল এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, মূল সড়কটি তিনটি থানার সাথে যুক্ত : মগরাহাট, উস্থি এবং মন্দির বাজার। অর্থাৎ, ওই রাস্তাতেই প্রতিনিয়তই কালিকাপোতা অঞ্চল ছাড়াও বহু মানুষের যাতায়াত। পাশেই সংগ্রামপুর রেলস্টেশন। রেল স্টেশনের দুই দিকেও সেই একই অবস্থা।

এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী, শুধু সংগ্রামপুর রেলস্টেশন যাত্রী বলেই নয়, এই সমস্যায় ভুগতে হয় সপ্তগ্রামবাসী সহ তার পার্শবর্তী আরো তিনটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার (নিশাপুর, কেচারকুড় ও লক্ষিকান্তপুর অঞ্চল) সমস্ত বাসিন্দাদের। এই একটি মাত্র মূল সড়কের মাধ্যমেই সমস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের যাতায়াত মাধ্যম। সপ্তগ্রাম এলাকার সরকারি ও বেসিরকারী বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য পেশার মানুষজনকেও প্রচন্ড মানসিক চাপ এবং উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে পার হতে হয় এই জায়গাগুলো।

আর এই রাস্তাটা যে শুধুই জলে ডুবে থাকছে তাই নয়। জলের নীচে বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে গিয়েছে, তাই প্রতিনিয়ত মানুষ ওখানে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রের খবর। কেউবা পড়ছে মোটরসাইকেল নিয়ে, তো কেউ সাইকেল নিয়ে, আবার গর্তে পরে কোনো ধনী মাছ বিক্রেতার মাছের হাঁড়ি উল্টে যাওয়া বা বাঁক ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না করেই রাস্তার দুইধারে কিভাবে বিল্ডিং তোলা হচ্ছে তার সদুত্তর পঞ্চায়েতের কাছে নেই, যদিও পঞ্চায়েত থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরুত্বেই এই জায়গার অবস্থান।

বিশ্বস্ত সুত্রের খবর, সপ্তগ্রামবাসী এই রাস্তার বিষয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাস্তার পাশের বহু দোকানদারদের মতামত, এরপর রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করা হবে যদি না দ্রুত এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইতিমধ্যেই সপ্তগ্রাম এলাকার বহু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এইসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত, ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন। দ্রুত সমাধান না হলে সাধারণ মানুষ যে ক্ষোভ প্রকাশে, ও নিজেদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনের পথে নামতে পারেন তা এখন বহু মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত বিষয়।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply