সাঁকরাইলের ইমামির গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, ১৩টি ইঞ্জিনেও হিমশিম দমকলবাহিনী

0

HnExpress রাজ মল্লিক, হাওড়া : মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে বিপর্যস্ত হাওড়ার ভোজ্য তেলের গোডাউন। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে সাঁকরাইলের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ইমামী হেলথি এন্ড টেস্টি ভোজ্য তেলের গোডাউনে। বিধ্বংসী আগুনের লেলীহান শিখায় জ্বলতে থাকে গোটা গোডাউন, আকাশ্চুম্বি কুন্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। প্রাথমিক তদন্তে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে বলে অনুমান দমকলকর্মীদের। যদিও এখনও আগুন লাগার কারন যথেষ্ট স্পষ্ট নয় বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। আগুনের প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে ৮টা ইঞ্জিনেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না দমকলবাহিনী।

পরে আরও ৫টি ইঞ্জিন আনা হয়। তা স্বতেও আগুন আয়ত্বে আনতে রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা তাদের। সারা দিন ধরে ১৩টি ইঞ্জিনের সহায়তায় দমকলবাহিনীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় অবশেষে রাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে বলে সূত্রের খবর। তবে গোডাউনে কোনো শ্রমিক না থাকায় হতাহতের খবর নেই। যদিও গোডাউনে বিপুল পরিমাণে ভোজ্য তেল মজুদ থাকার কারণে আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল।

ক্ষতির সঠিক পরিমাণ না জানা গেলেও, গোডাউনে মজুত করা কয়েক কোটি টাকার ভোজ্য তেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। পাশের গোডাউনের কর্মচারী শঙ্কর ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘প্রথমে গোডাউনের পেছনের অংশে আগুন লাগে। তখন আমরা সেটা বুঝতে পারিনি। তারপর ৭টা নাগাদ আগুন পুরো গোডাউনে ছড়িয়ে পড়লে আমরা আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি।

জানা গেছে, গোডাউনের ভিতর তেলের ব্যারেল বিস্ফোরণে তেল জলের মতো গড়িয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। এটা গোডাউন বলেই শ্রমিক থাকতো না, বাইরে সিকিউরিটি গার্ড দায়িত্বে থাকে। ঠিক কি কারণে আগুন লাগলো সেই বিষয়ে এখনও ধন্দে রয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।’

এদিন বেলা যত বাড়তে থাকে, আগুনের তীব্রতাও ততই বাড়তে থাকে, কারণ গোডাউনে বিস্তর ভোজ্য তেল মজুদ করা ছিল। আর সেই কারণেই আগুনকে নিয়ন্ত্রনে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। ভয়াবহ অগ্নীকান্ড নিয়ে প্রতক্ষ্যদর্শী এবং সেই গোডাউনের সিকিউরিটি ইনচার্জের সাথে কথা বললেন আমাদের প্রতিনিধি।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply