প্রথমবর্ষের রক্তদান উৎসবে উদ্যোগী মধ্যমগ্রামের ব্যবসায়ী সমিতি
উৎসব হোক বা সামাজিক কর্মকান্ড, আর্তের সেবা হোক বা সাহায্য, সবেতেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রামের আব্দালপুরের লক্ষ্মী নারায়ণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
HnExpress ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত, উত্তর ২৪ পরগণা : আমরা জানি, “রক্ত দান মহৎ দান”। আর জীবকূলের প্রাণের উৎস হিসেবে রক্ত হলো অপরিহার্য। মানুষের স্বেচ্ছায় দান করা রক্তের প্রতিটি বিন্দু বাঁচাতে পারে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু বা কোনো মুমূর্ষু রুগির জীবন। তাই রক্তদান হলো জীবনদান। সবকিছুর বিকল্প থাকলেও প্রাণের জন্য রক্তের কোনো বিকল্প নেই।
আর সেই জীবন দান স্বরূপ রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজ্য জুড়ে সারা বছর ধরেই চলছে রক্তদান উৎসব। এক অর্থে তা পূণ্যস্নানও বটে, মক্কা-মদিনা থেকে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ বা জেরুজালেম দর্শনের মতো বিনামূল্যে রক্তদান করে মানুষের জীবন বাঁচানোর মধ্য দিয়েও পুণ্যতা অর্জন করা যায়।
কারণ প্রতিটি মানুষের মাঝেই কিন্তু ঈশ্বরের বাসভবন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মধ্যমগ্রাম পৌরসভার অন্তর্গত আব্দালপুরের লক্ষ্মী নারায়ণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির স্বত:স্ফূর্ত উদ্যোগে পালিত হলো তাদের প্রথম বর্ষের রক্তদান উৎসব ও ডেঙ্গু সচেতনতায় মশারি বিতরণ অনুষ্ঠান। প্রায় একশত প্রান্তিক মানুষের হাতে মশারি তুলে দেওয়া হয়।
এদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌরপ্রধান নিমাই ঘোষ, পুর পারিষদ প্রধান নজরুল ইসলাম, পুর মাতা মাস্তুরা সাহানি, পুর পিতা পংকজ কান্তি চন্দ, পুর মাতা মমতা রায় সেন সহ বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। পুজো ছাড়াও সারা বছর নানাবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত এই সমিতির সুধী সদস্যবৃন্দ। সরকারি ব্ল্যাড ব্যাংকের সহযোগিতায় প্রায় ৬০-৭০ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।
সেই সামাজিক দায়বদ্ধতাকে কাঁধে তুলে নিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া আর্ত মানুষের পাশে থাকার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ায় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে আমাদের প্রতিবেদককে জানালেন সমিতির সদস্য তীর্থঙ্কর অধিকারী ও বাবাই চক্রবর্তী। এদিন অনুষ্ঠানের স্বার্থকতা নিয়ে যথেষ্ঠ উচ্ছস্বিত ও উদ্যোগী সমিতির পুরুষ থেকে মহিলা সকল সদস্যবৃন্দ। আর তাঁদের এই মহৎ প্রয়াসের ভুয়সী প্রশংসা করে বাহবা জানায় পৌর অধ্যক্ষ নিমাই ঘোষ।