২১ এর ভোটের প্রাক্কালেই আবারও ঘর ভাঙ্গাতে ব্যস্ত বিজেপি, কয়লাকান্ডে নোটিশ অভিষেকের স্ত্রীকে

0

HnExpress প্রিয়দর্শী সাধুখাঁ, কলকাতা ঃ শুভেন্দু, রাজীব এবং আরও কিছু হেবিওয়েট নেতার পর তৃনমূলের যুব নেতা ও সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কি এবার বিজেপির নিশানায়? এরকমই কিছু প্রশ্ন উঠছে সব স্তরেই। সোজাসুজি ভাবেই তাদের বক্তব্য, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ফাঁদে না ফেলে তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফাঁদে ফেলার সিধান্ত নিয়েছে মুকুল, শুভেন্দু শোভিত বিজেপি নেতৃত্ব। যুব নেতা তথা সাংসদের স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে কি আবারও বড়োসড়ো ঘর ভাঙ্গাতে চায় তাঁরা?

রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ২১ এর ভোটের ময়দানে লড়াইতে যাওয়ার আগেই একটু একটু করেই সারদা, নারদাকান্ডের ভয় দেখিয়ে, এমন কি পদের লোভ দেখিয়ে বিজেপি তৃণমূল দলের হেবিওয়েট নেতাদের ভাঙ্গানোর নোংরা রাজনীতির খেলাতে মেতেছে বাংলা জয়ের লক্ষে। সুত্রের খবর, কয়লা পাচার তদন্তে খোদ তৃনমূলের যুব নেতা ও সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২১ এর ভোটের প্রাকাল্লে সিবিআই জেরা করার জন্য নোটিস দেয়।

সিআরপিসির ১৬০ ধারায় নোটিশ দিয়েছে সিবিআই, কারন এই ধারায় কোনও ঘটনায় কারও কাছে কোনও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য রয়েছে বলে মনে হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। কয়লা পাচার কাণ্ডে বাংলা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। যেমনটি করোনা প্রতিরোধে পর্যবেক্ষক দলের সংখ্যা বাড়িয়ে ছিল অন্য রাজ্য গুলির থেকেও বেশি এই রাজ্যতেই। কয়লা পাচার মামলাতে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকরা।

এদিন এই ঘটনার সত্যতার প্রশ্ন তুলে টুইটারের মাধ্যমে রীতিমতো সরব হলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ যদি ভেবে থাকে এসব করে আমাদের ভয় দেখানো যাবে তাহলে সেটা তাঁদের ভুল ধারণা’। অন্যদিকে সিবিআই সূত্রের খবর, রুজিরার তরফে কোনও ফোন না পেলেও গতকাল রবিবার রাতে কোনও পদক্ষেপ করেননি সিবিআই গোয়েন্দারা। আজ সোমবার সকালে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা যায় এবং অভিষেকের বাড়ি যেতে পারেন গোয়েন্দারা।

রবিবার সন্ধ্যাতেই স্ত্রী রুজিরার পর আজ অভিষেকের শ্যালিকাকেও নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। কলকাতা লাগোয়া পঞ্চসায়রের হাইল্যান্ড পার্কে গিয়ে অভিষেকের শ্যালিকা মনিকা গম্ভীরকে নোটিশ ধরান সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টার জেরাতে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ নানা বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা।সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার উমেশ কুমার, সাথে দুই মহিলা আধিকারিক সহ ৮ অফিসার।

গতকাল দক্ষিণ কলকাতায় ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে থাকাকালীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ধমকানি, চমকানি আর জেলের ভয় দেখাবেন না। শুনেছি কখনও কখনও বিজেপি কেন্দ্রের নেতারা বলছেন, বাংলার মেরুদণ্ড ভেঙে দেবেন। আমি বলছি আসুন, একবার চেষ্টা করে দেখুন। এর আগেও অনেকবার তো ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আরেকবার চেষ্টা করে দেখুন’।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply