“বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” এই স্লোগানেই বাজী মাত করতে চলেছে তৃণমূল

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, মধ্যমগ্রাম ঃ “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” এই স্লোগানেই বাজী মাত করতে চলেছে তৃণমূল। স্লোগানটির প্রচার নিয়ে এদিন বসুন্ধরা হাউজিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হলো এক সাংবাদিক সম্মেলন। প্রসঙ্গত, ২১ এর ভোটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির একটাই লক্ষ যে, আমজনতার কাছ থেকে নিজেদের প্রাপ্য ভোট বুঝে নেওয়া। এতে পিছিয়ে নেই তৃণমূল সরকারও। জনমুখী প্রকল্প গুলি রুপায়নের পর “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”, স্লোগান নিয়ে ভোটের আসরে নামছে তৃণমূল।
“বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” এই স্লোগানটি নিয়েই সকাল ১০টায় গত ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের দিন এক সাংবাদিক সন্মেলন হয় মধ্যমগ্রামের বসুন্ধরা হাউজিং কমপ্লেক্সে। এদিন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক তথা পৌর প্রশাসক রথীন ঘােষ, প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বারাসাতের পৌর প্রশাসক সুনীল মুখার্জি এবং অন্যান্যরা। বাংলা দখলের লক্ষ্য নিয়েই প্রায়ই বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জে পি নাড্ডাদের মতো বিজেপি নেতৃত্বরা।
এর আগেই ‘বহিরাগত’ তমকা দিয়ে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। ২১ এর ভোট প্রেক্ষাপটে তৃণমূলনেত্রীকে ‘ঘরের মেয়ে’ সম্মোধন করে ভোটের স্লোগান তৈরি করে আমজনতাকে নিজেদের দিকে টানতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব, কারন বস্তুত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রলভনে আজ অনেক হেবিওয়েট নেতাই দলবদলে ব্যস্ত। আর নিন্দুকের নিন্দা করাই ধর্ম, তাই চিরাচরিত প্রথা মেনেই রাজ্য সরকারের নব্য স্লোগানকে কটাক্ষ করে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি আরও বলেন, ‘স্লোগান দিলে মানুষ তাতে ছুটবে না। সরকার কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখেনি। তাই মেয়ের কথা ভুলেই গিয়েছে বাংলার মানুষ।শুধু স্লোগান দিয়ে নির্বাচন জেতা যায় না। আর মানুষ জানানে উনি কী জিনিস’। প্রঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২১ এর ভোটের অনেক আগে থেকেই কিন্তু “কন্যাশ্রী”, “যুবশ্রী”, রূপশ্রী, এমন কি পড়ুয়াদের বিনামূল্যে সাইকেল বিতরণ করা হয়, যার ফলে বাংলার মানুষদের সার্বিক কল্যাণই হয়ে ছিল। এরপর ভোটকালীন ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় সমাধান’ কিংবা সকলের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর মত এমন অনেক উন্নয়নমুখী কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল সরকার।
তাই স্লোগান প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন যে, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”, আজকের বাংলার রায় নিজের মেয়েকেই চায়। শ্রমিক কৃষকদের রায়, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, দিল্লীতে যে ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক আন্দলনকে বন্ধ করার চেষ্টা করেছে, পরবর্তীকালে বাংলাতে যদি সেই সরকার গঠন হয় তাতে বাংলার মানুষের ভবিষ্যৎ হবে ভয়াভব৷ ফলে স্লোগান কেন্দ্রীক প্রচারে বাংলার মসনদে কে বসবে তার রায় দেবে ২১ এর ভোটে বাংলার আমজনতাই।