প্রার্থী পছন্দ নয় বীরভূমের নেতা অনুব্রত মন্ডলের, তাই বন্ধ প্রচার ও দেওয়াল লিখনের কাজ

0

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম ঃ কিছু মাস আগেই ২০ পেরিয়ে ২১ এ পরেছে বছর। দেশ টানা লকডাউনের পর করোনা ভীতি কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে। তবে করোনা যে চলে গেছে তা বলা যায় না। ইদানীং সংক্রমণের হার বেড়ে চলছে ক্রমশ। কিন্তু সংক্রমণকে তোয়াক্কা না করেই বিজেপি, তৃনমূল ও বাম কংগ্রেস আই এস এফ জোট ব্রিগেড সমাবেশ, মিছিল করেই যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে তৃনমূলের নির্বাচনী ইস্তাহার। বাদ গেছে অনেকেই, আবার তারকাদের মধ্য থেকে অনেককেই দাড় করানো হয়েছে তৃনমূলে।

অনেকেরই প্রার্থী তালিকা পছন্দ হয়নি। তাদের মধ্যে খোদ বীরভূমের অনুব্রত মন্ডল হাবে ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে দলের ঘোষিত প্রার্থী পছন্দ নয় তাঁর। এই কারনেই তিনি অসন্তুষ্ট। আর এদিন একথা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিলেন বীরভূমের অনুব্রত ওরফে কেষ্টা। একটি বাদে ১০টি আসনের দ্বায়িত্ব তিনি নেবেন। কারণ ওখানকার প্রার্থী তাঁর একেবারেই পছন্দের নয়। এছাড়াও দুবরাজপুর কেন্দ্রকে তিনি সহ্যই করতে পারেন না। ফলে প্রার্থী ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে কিছু দিন কিন্তু তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে নেই কোনও উৎসাহ।

ফলে তাঁরা কাজেও নামেননি। দেওয়াল লিখনও বন্ধ, হচ্ছে না ভোটের প্রচারও। অন্যদিকে সেই বীরভূমে প্রার্থী ঘোষণার পর নলহাটির বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস দল ছেড়েছেন। এই দিকে দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়িকেও প্রার্থী তালিকা থেকে এবারে ছাটাই করেছে দল। দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ির বদলে খয়রাশোলের বাসিন্দা গৃহবধূ অসীমা ধীবরকে ওই এলাকাতে প্রার্থী ঘোষণা করেন তৃণমূল দলনেত্রী।

তবে নরেশ চন্দ্র বাউড়ির বদলে খয়রাশোলের বাসিন্দা গৃহবধূ অসীমা ধীবরকে ওই এলাকাতে প্রার্থী ঘোষণা করাতে অনুব্রত মন্ডলের অসুবিধা নেই বলে দুবরাজপুরের প্রকাশ্য সভায় বিধায়ক ও বর্তমান প্রার্থী দুজনকে পাশে বসিয়ে জন সভায় দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর আহ্বানও জানান প্রচার মঞ্চে। এর আগেও দেখা গেছে যে অনুব্রত মণ্ডলের পাঠানো তালিকাকেই বরাবর স্বীকৃতি দেয় দল। তবে এবারে “খেলার মাঠে” কিছুটা রদ বদলের জন্য ওই আসনে তাঁর পাঠানো নাম বিবেচনা করা হয়নি।

ফলত সে জন্যই ক্ষোভের আভাস স্পষ্ট অনুব্রত মন্ডলের কথায়। এই দু’টি কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ ইতিমধ্যেই বিরোধিতা শুরু করে দিয়েছে। শুধু প্রার্থী বদলের দাবিতেই থেমে থাকেননি কর্মী সমর্থকরা। প্রার্থীদের হয়ে দেওয়াল লিখনেও কর্মীরা নাকি যেতে চাইছেন না বলেও দলের একাংশ দাবি করেছেন। দলের ভিতরেই এই প্রার্থী ঘিরে দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা নেতৃত্বও।

বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে। দুবরাজপুরেও নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে৷ সেই কেন্দ্রের প্রার্থীকে নিয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সভাও করেছেন। কিন্তু দলীয় কর্মীদের একাংশ মানতে চাইছেন না প্রার্থীকে৷ সেই কারণে জেলা সভাপতির কাছে প্রার্থী বদলের আবেদন করেছেন তাঁরা৷’ ফলে দলের কাছে নিজের আপত্তি জানিয়ে দুবরাজপুরের প্রার্থী বদলের জন্য নতুন করে ফের তিনটি নাম পাঠিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply