হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো বিপদজনক চিহ্নিত বাড়ি— আহত দুই, মৃত এক

0

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : পুরসভার পক্ষ থেকে আগেই বেশকিছু বাড়িকে বিপদজনক (Dangerous) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো ছিল সেইসব বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে। কিন্তু এরপরেও তেমনই একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করছিলেন বেশকিছু পরিবার।

পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর, বুধবার বেশ গভীর রাতে হটাৎই প্রায় ১০০ বছরের পুরনো (centenarian) একটি পাঁচতলা বাড়ির তিন তলার একটি বড়সড় অংশ ভেঙে পড়ে। আর চাঙ্গড় ভাঙার বিকট শব্দে বাড়ির বাসিন্দারা ভয়ে বাইরে বেরিয়ে চলে আসেন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। তবে দুর্ভাগ্যবশত ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন এক দম্পতি এবং এক নাবালক।

দমকলের সাহায্যে রাত তিনটে নাগাদ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও হাসপাতালেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। তবে মৃত মহিলার স্বামী সহ আরও এক নাবালক বেশ আসঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medical College) চিকিৎসাধীন। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটায়।ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। ঘিরে রাখা হয়েছে গোটা ঘটনাস্থল।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অন্য বেশকিছু বাড়ি সহ এই বাড়িটিকেও কলকাতা পুরসভার (Kolkata Corporation) পক্ষ থেকে বিপজ্জনক বাড়ি হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো ছিল বাড়ির দেওয়ালে। তা সত্ত্বেও বাড়িটিতে প্রায় ৩০-৪০ জন বাসিন্দা বসবাস করছিলেন। এই দুর্ঘটনার পর বাড়িটির মালিকপক্ষ এবং পুরসভার উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা।

ওই বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, “এক সপ্তাহ আগেও বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়েছিল। গত ২০ বছর ধরে বাড়িটিতে কোনও মেরামতের কাজ হয়নি। বার বার বলেও কোনও কাজ হয় না। বাড়িটি সারানোর মতো ক্ষমতা তাঁদের সামর্থের বাইরে। বাড়িটির হাল ক্রমেই খারাপ হতে থাকলেও তাঁদের কিছু করার ছিল না। মালিক বা পুরসভা কখনই কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply