অচেনা তরল আতঙ্কে ভুগছেন পূর্ব মেদিনীপুর এর বহু মানুষ

0

HnExpress রূপা বিশ্বাস, মেদিনীপুর ঃ অনেক দিন ধরেই এক আজব ঘটনা ঘটেই চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের যুগবেড়িয়ার একটি গ্রামে। আচমকা আঠা জাতীয় তরল পদার্থে আতঙ্কিত সেখানকার বাসিন্দারা। জানা যায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়ির বাইরে এবং বাড়ির ভিতরে আচমকা এই তরল পদার্থটি ছিটে এসে পড়ছে।

কিন্তু হঠাৎ করে এই তরল পদার্থ কোথা থেকে আসছে তার হদিস খুঁজে পাচ্ছে না কেউই।
সূত্রের দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের যুগবেড়িয়া এলাকার রাধানগর গ্রামে এই আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয়রা। সেই গ্রামের স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আজব এই তরল পদার্থটি ঘুম কেড়ে নিয়েছে প্রত্যেকেরই। তারা বললেন এই তরলটি কোথা যে থেকে আসছে সে সন্ধান কেউই দিতে পাচ্ছেনা।

আচমকাই আঠার মতন চিটচিটে ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত তরলটি রাস্তাঘাটের মধ্যে যেখানে সেখানে এসে পড়ছে। এবং সেই তরলটি যেখানে পড়ছে সেখানেই দাগ ধরে যাচ্ছে। দাগ ধরে যাচ্ছে জামাকাপড়ও বইয়েও। স্থানীয়রা আরও বললেন, গত পনেরো দিন আগে থেকে শুরু হয়েছে এই তরল আতঙ্ক। তারা জানান এই তরলটি দেখতে একদম ফেভিকুইকের মতন সাদা। এটি যদি কারোর মাথায় পড়ছে তাহলে সেখান থেকেই নিজে থেকে চুল খসে পড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

এই পদার্থটির পড়ার আগে বিদঘুটে এক গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং সেই গন্ধকে অনুসরণ করে সেখানকার স্থানীয়রা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই টর্চ নিয়ে খুঁজছেন কোন পোকা এই তরলটি ছড়াচ্ছে কিনা তা জানার জন্য। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁরা তেমন কিছু পায়নি বলেই দাবি। উক্ত ঘটনার ভুক্তভোগী এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমরা সেদিন অনেকেই একই জায়গায় বসেছিলাম, হঠাৎ করে শিশিরবিন্দুর মতন গায়ে কিছু একটা এসে পড়ে তারপর সেকেন্ডের মধ্যে সেটা মিলিয়ে যায়। এবং সেই জায়গাটা শক্ত হয়ে যায়।

শুধু তাই নয়। শরীরের যে অংশে এই তরলটি পড়ছে সেখানেই মারাত্মক জ্বালার অনুভূতি হচ্ছে। তবে এই ঘটনা পুরো গ্রাম জুড়েই ঘটছে এমন নয়। যুগবেড়িয়া গ্রামের প্রান্তিক এলাকায় মাত্র তিনটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয়রা।
সেখানে জায়গাটা যথেষ্ট খোলামেলা এবং পাশেই ধান ক্ষেত থাকার জন্য সন্দেহ বাড়ছে সেখানকার স্থানীয়দের। ফলে মানুষের মধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা এবং কৌতুহল বাড়ছে। তবে কারোর কাছে থেকেই এই অদ্ভুত ঘটনার কোনও সঠিক যুক্তিযুক্ত উত্তর পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের দাবি।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply