জীবনের ঝুঁকি নিয়েও নিত্যদিনের যাতায়াত ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতু দিয়ে

0

HnExpress মোমিন আলি লস্কর, জয়নগর : দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার অন্তর্গত জয়নগর এক নম্বর ব্লকের শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও হরিনারায়নপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মধ্যস্থ গৌঁড়েরহাট খালের উপর রয়েছে একটি পুরাতন কাঠের সেতু। গত তিন বছর আগে সেচ দপ্তরের উদ্যোগে তৈরি করা হয় একটি কাঠের সেতু।

কিন্তু একবছর না যেতে যেতেই সেই কাঠের সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিন সেই ভগ্নদশা কাঠের সেতুটির উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকাবাসী ও স্কুলের পড়ুয়াদের। সম্পূর্ণ ভগ্নপ্রায় দশা কাঠের সেতুটি এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের কাছে।

রায়নগর, উত্তরপাড়া নিজ, উত্তরপাড়া আবাদ সহ একাধিক গ্রামের মানুষদের এই ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতুর উপর দিয়েই যেতে হয়। ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষ। কারণ এটা ব্যাতিরেকে আর কোনো পথ নেই যাওয়ার। ফলে এটা যতই বিপদজনক হোক না কেন, ভরসা এই ভগ্ন সেতুই।

এই কাঠের সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে ঘটছে বহু দুর্ঘটনা। শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ও হরিনারায়নপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদেরকে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় এই ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতুর উপর দিয়েই। বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তাই এই ভগ্ন কাঠের সেতুর উপর দিয়ে পারাপার করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই খালের জলে পড়েও যান। ফলে প্রায় ভগ্ন হয়ে আসা এই কাঠের সেতুটি এখন এলাকাবাসীর কাছে একটা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আর প্রশাসনও সব জেনেশুনে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বের হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

আর এটাই নিত্যদিনের চিত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর এক নম্বর ব্লকে হরিনারায়নপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের রায়নগর গ্ৰামের ও শ্রীপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত গৌঁড়েরহাট খালের উপর ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতুটির। মৃত্যুকে সঙ্গী করে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে দু’পারের স্থানীয় বাসিন্দাদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্কুলের পড়ুয়াদেরকেও।

এ প্রসঙ্গে জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন, দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। অন্যদিকে নব নির্বাচিত জয়নগর এক নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি ঋতুপর্ণা বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়টি আমাদের আগেই জানা আছে। আমরা প্রপোজাল পাঠিয়েছি, কারণ ফান্ডে টাকা নেই। তাই টাকা এলেই আমরা খুব শীঘ্রই এই কাজটি শুরু করব।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply