সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে

0


HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কামারহাটি : কামারহাটি পৌরসভার অন্তর্গত আড়িয়াদহের বাসিন্দা পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের (Civil Engineer) কাছ থেকে জোর করে রক্তদান শিবিরের নামে মোটা টাকা তোলার অভিযোগ উঠলো এলাকারই ক্লাবের বিরুদ্ধে। এমনকি সেই মোটা অংকের টাকা না দেওয়ায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ব্যক্তিটিকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে।

ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (Civil Engineer)। এরপরই এই ঘটনার বিস্তারিত বিষয় নিয়ে দক্ষিণেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কামারহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড নিমচাঁদ কারার স্ট্রিট সংলগ্ন আড়িয়াদহ এলাকায় এক আবাসনে একাই থাকেন দীপঙ্কর মিত্র নামে এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।

অভিযোগ, আড়িয়াদহ সিংহ বটতলা ক্লাবের রক্তদান শিবিরের জন্য ক্লাবের সদস্যরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (Civil Engineer) দীপঙ্কর মিত্রের কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তিনি এই ১ লক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তারপরই দীপঙ্কর বাবুকে চাপ দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকার চেক লিখিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ।



এরই পাশাপাশি দীপঙ্কর বাবুর ঘরের আলমারি থেকেও বেশকিছু নগদ টাকা বলপূর্বক ছিনিয়ে নেয় ক্লাবের সদস্যরা। বাধা দিতে গেলে তাঁকে বাঁশ, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট আতঙ্কিত দীপঙ্কর মিত্র। তিনি সরাসরি ক্লাবের সদস্যদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

যদিও দীপঙ্কর বাবুর সমস্ত অভিযোগই ন্যাসাৎ করছেন ক্লাব সদস্যরা। উল্টে তাদের অভিযোগ, দীপঙ্কর মিত্র নাকি মহিলাদের চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর ফাঁকা ফ্ল্যাটে ডাকতেন অসৎ উদ্দেশ্যে। সেই মহিলাদের সাথেই গন্ডগোল হওয়ায় তারাই ক্লাব সদস্যদের এসে খবর দেন। তখন তাঁরা দীপঙ্কর মিত্রের ফ্ল্যাটে বিষয়টি যাচাই করতেই গিয়েছিলেন বলে দাবি।



তবে এই ঘটনায় আড়িয়াদহ সিংহ বটতলা ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে দক্ষিনেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (Civil Engineer)। অন্যদিকে, এই ঘটনার খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন কামারহাটি পৌরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা।

এ বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, “এলাকার ক্লাবগুলো স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলর আর নেতারাই চালায়। এই ধরনের ঘটনা তৃণমূলের রাজত্বে গোটা রাজ্যেই চলছে। তৃণমূলী তোলাবাজদের আতঙ্কে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিস সব জেনেও নির্বিকার।” যদিও গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে পড়েছে দক্ষিণেশ্বর থানা।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply