December 11, 2024

শিক্ষক দিবসে চিলড্রেন্স কর্নারের অভিনব উদ্যোগ

0
Img 20190906 Wa0006.jpg
Advertisements

HnExpress নিজস্ব সংবাদদাতা, সংগ্রামপুর ঃ ৫ই সেপ্টেম্বর সারা দেশ জুড়ে মহাসমারোহে উদযাপিত হলো ৫৮ তম শিক্ষক দিবস। এই বিশেষ দিনে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক বিশেষ উদ্দীপনা, উন্মাদনা কাজ করে। নস্টালজিক হয়ে যায় শিক্ষার্থী, শিক্ষাগুরু থেকে ভিন্ন স্তরের মানুষও। আর সেই কথাই মাথায় রেখে শিক্ষক দিবস পালনে এক অভিনব উদ্যোগ নিল চিলড্রেন্স কর্নার।

মুলত বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি এই স্মরণীয় দিনটিকে প্রথাগতভাবে উদযাপন করে থাকে। আর সেইরূপ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উস্থি থানার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খ্যাতনামা বিদ্যালয়, চিলড্রেন্স কর্নার ট্রাস্ট পরিচালিত চিলড্রেন্স কর্নার ইনস্টিটিউশনের এক অভিনব পরিকল্পনায় গতকাল এই দিনটি উপযুক্ত মর্যাদায় পালন করা হয়।

বিদ্যালয়টির উদ্যোগে এইদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত ব্লকের শাসন এর শাখায় পড়ুয়া ছাত্রীদের শাড়ি পরিহিতা হয়ে শিক্ষিকা হিসাবে ক্লাস নেওয়ায় তা প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত হিসেবে নজর কেড়েছে অভিভাবক থেকে সাধারণ মানুষের।

অন্যদিকে সংগ্রামপুর এ অবস্থিত চিলড্রেন্স কর্নার বিদ্যালয়টি (নার্সারী থেকে মাধ্যমিক) ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ পর্যন্ত কারো থেকে কোনরূপ অনুদান না নিয়েই ৩৫ বছর পুরানো এই বিদ্যালয়টি নয় শতাধিক ছাত্র ছাত্রী, ৪৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকা ও ১০ জন নন টিচিং স্টাফদের নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের সংবর্ধিত করলো প্রশংসনীয় ভাবে।

বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালক তথা ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি তথা শিক্ষক সাবির হোসেন হালদার অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে জানান যে, সমাজ গঠনে কারিগর হিসেবে একমাত্র শিক্ষক শিক্ষিকারাই পারেন আদর্শ সমাজ ও মানব সম্পদ গঠন করতে।

যেকোনো রকমের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ঃ ৮২৪০৯০২৪৪৫।

বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মানবিক দিকের উন্নয়ন করতে না পারলে যে তাদের মধ্যে দানবিক শক্তির বিকাশ ঘটবে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ করেন তিনি। এদিন তিনি আরো বলেন যে, “প্রতিটি শিক্ষাগুরুর মধ্যেই বুঝি গুরু দ্রোনাচার্য লুকিয়ে আছে।

এখন এটা আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে, যে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীর মধ্যে দানবিক কৌরবীয় শক্তির বিকাশ ঘটাবো, নাকি মানবিক পাণ্ডবীয় শক্তির বিকাশ ঘটাবো। আমরা অর্জুন তৈরীর কারিগর হিসাবে গর্বিত হবো, নাকি দুর্যোধন এর গুরু হিসাবে লজ্জিত হবো তা ঠিক করার সময় বোধহয় এসে গেছে।”

এদিন উপস্থিত সকল শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে এই শপথ বাক্য পাঠ করেন যে, “আমরা আমাদের বিদ্যাপিপাসুদের মানবিক দিকের বিকাশ ঘটিয়ে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে আজীবন প্রচেষ্টা করবো, যাতে দানবীয় শক্তির পরাজয় নিশ্চিত করা যায়। “আবেগাপপ্লুত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষিকা ও অভিভাবক-অভিভাবিকা বিদ্যালয়ের এমন প্রয়াসকে আন্তরিক কুর্নিশ জানায়।

Advertisements

Leave a Reply