মাত্র ১০ মাস বয়সেই রেলের চাকরি পেলেন এক কন্যা শিশু
HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ একদিকে আনন্দের কিন্তু আরেকদিকে বড় মর্মান্তিক এক বিরল ঘটনা। মাত্র ১০ মাসের ছোট্ট শিশুকে একা রেখে চিরতরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তার বাবা ও মা। মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় নিহত হন রেলকর্মী রাজেন্দ্রকুমার যাদব ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জু যাদব। কিন্তু সেই দূর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে অক্ষত অবস্থায় জীবিত রইলেন ১০ মাসের এক কন্যা শিশু।
আর বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর বাবার সেই চাকরি পেল একরত্তি শিশুটি। হ্যাঁ এমনই এক বিরল অথচ আশ্চর্য এক ঘটনা ঘটেছে। যা ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। এদিন সরকারি ভাবে বিষয়টি নথিভুক্ত করার জন্য নেওয়া হল শিশুটির আঙুলের ছাপ। এই চাকরি সে পাবে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর। তার আগেই সরকারি ভাবে সিলমোহর দেওয়ার জন্য নেওয়া হল আঙুলের ছাপ।
- ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ বাতিল করলো রাজ্য সরকার, কিন্তু কেন?
- শ্রাবণের অন্তিম লগ্নে দূর্যোগের আশঙ্কা, সপ্তাহান্তে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
প্রসঙ্গত, ভিলাইয়ের রেল ইয়ার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন রাজেন্দ্রকুমার যাদব। গত ১লা জুন স্ত্রী-সন্তান সহ বাইকে করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলেন বাবা রাজেন্দ্র যাদব। পথেই ঘটে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দম্পতির। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় রাধিকা নামের ১০ মাসের শিশুকন্যাটি। নিয়ম অনুযায়ী রায়পুর রেলওয়ের তরফে রাজেন্দ্রকুমার যাদবের পরিবারকে দেওয়া হয় সব রকমের সহায়তা।
যথারীতি বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর ১০ মাসের শিশুকন্যার ভবিষ্যত্ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন রাজেন্দ্রর পরিবার সহ আত্মীয়রা। তখনই ১০ মাসের শিশুকন্যার পাশে দাঁড়ালেন ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। গত ৪ঠা জুলাই সরকারি ভাবে এই শিশুকন্যার চাকরি নথিভূক্ত করা হয়।