November 14, 2024

আহত পরীক্ষার্থীকে চিকিৎসার পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিল বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ

0
Advertisements

HnExpress ১৭ই মার্চ, ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ আহত পরীক্ষার্থীকে চিকিৎসার পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিল বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। হ্যাঁ গত শনিবার, মানে ১৪ই মার্চ সকালে এক পরিচিতের বাইকে চেপে ইংরেজি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সাহিল সরকার। ট্যাংরা রোডের বাসিন্দা সাহিলের সিট পড়েছিল বেনিয়াপুকুরের ইসলামিয়া হায়ার সেকেন্ডারি মাল্টিপারপাস স্কুলে। সকাল ৯.৩০ নাগাদ রাস্তায় বেশ ভালো ভিড়। বাইক নিয়ে এগোনোই কঠিন হয়ে পড়েছে দেখে পরীক্ষা কেন্দ্রের খানিকটা আগেই নেমে হাঁটতে শুরু করে সাহিল।

ঠিক তখনই, বেনিয়াপুকুর রোডেদ একটি রিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার। ধাক্কার চোটে সাহিলের ডান পায়ের পাতায় গুরুতর আঘাত লাগে। শুরু হয় রক্তপাতও। জখম সাহিলকে দ্রুত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রাই। এদিকে সেই খবর পৌঁছয় বেনিয়াপুকুর থানাতেও। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে পৌঁছন বেনিয়াপুকুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি, ইনস্পেক্টর লোপসান ভুটিয়া এবং সার্জেন্ট রাজু হালদার।

 

 

তখনও সাহিলের প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সরা মিলে তার ডান পায়ের ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিচ্ছেন। কিন্তু তখন আঘাতের থেকেও সাহিলের দুশ্চিন্তা পরীক্ষা দিতে পারা নিয়ে। কারণ পরীক্ষা শুরু হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। তাই এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে সাহিলকে থানার গাড়িতে চাপিয়েই ইসলামিয়া হায়ার সেকেন্ডারি মাল্টিপারপাস স্কুলের দিকে রওনা দেন বেনিয়াপুকুর থানার অ্যাডিশনাল ওসি, ইনস্পেক্টর লোপসান ভুটিয়া এবং সার্জেন্ট রাজু হালদার।

পরীক্ষাকেন্দ্রে সাহিলের সিট পড়েছিল তিনতলার একটি ঘরে। এদিকে, এই জখম পা নিয়ে তখন সিঁড়ি ভেঙে তিনতলায় ওঠা সাহিলের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেনিয়াপুকুর থানার দুই পুলিশকর্মী তখন কার্যত কোলে করে তাকে উঠিয়ে নিয়ে আসেন তিনতলার ঘরে। পরীক্ষা দেওয়া নিশ্চিত হওয়ায় তখন খানিকটা ধাতস্থ হয়েছে সাহিল।

বেনিয়াপুকুর থানার পক্ষ থেকেই যোগাযোগ করা হয়েছিল সাহিলের বাবা সঞ্জীব সরকারের সঙ্গেও। পরীক্ষার পর সাহিলের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থাও করে দেয় বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। তাদের বক্তব্য, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যে কোনও সমস্যায়, প্রয়োজনে ও বিপদে পাশে আছেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা।

তথ্যসূত্র ও চিত্র ঃ কলকাতা পুলিশ।       

Advertisements

Leave a Reply