February 10, 2025

ভারতে মার্কিন এম্বাসডর এরিক গার্সেটির টার্ম শেষ হচ্ছে ২০শে জানুয়ারি

0
Advertisements

HnExpress রাজ ঘোষাল, ওয়েবডেক্স নিউজ : ভারতে মার্কিন এম্বাসডর এরিক গার্সেটির টার্ম শেষ হচ্ছে ২০শে জানুয়ারি (January)। বিদায়ের আগে প্রেস কনফারেন্সে উনি বললেন, বাংলাদেশে গনতন্ত্র রক্ষায় সুষ্ঠু নির্বাচন ‘করাতে’ ভারত আর আমেরিকা একসাথে কাজ করবে। এর কিছুদিন আগেই outgoing American National Security Advisor জেক সুলিভান ভারত সফরে এলেন। ভারতে তাঁর কাউন্টারপার্ট ডোভালের সাথে মিটিং করলেন, সেই সময়ে এক গুচ্ছ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র, সেখানে নির্বাচন ‘করাতে’ হবে ভারত আর আমেরিকাকে মিলে? কিন্তু কেন? আসলে বাইডেন যাওয়ার আগে বাংলাদেশের ঘা’টা একটু হলেও শুকোতে চাইছে, মানুক বা না মানুক, কারণ ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনের poster boy মহম্মদ ইউনুসের ভালো মন্দের দায় ওদের ঘাড়েই।

অতএব জেক সুলিভানের ভারত সফরের অন্যতম কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, ভারতের কাছে ইউনুসের জন্য ‘safe exit’ চাওয়া, কারন ইউনুসের বিদায় ঘণ্টা বাইডেনের গদি ছাড়ার সাথে সাথে বেজে গেছে, আমেরিকার আর্থিক সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশের রাস্তায় খোলা ষাঁড়ের মতো ঘোরা ইসলামী মৌলবাদী শক্তিকে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা ইউনুসের নেই।

আর ভারত (R&AW) না চাইলে পালানোর পথও কার্যত বন্ধ। তাই অক্ষত অবস্থায় ফিরতে হলে আমাদের পা তোমায় ধরতেই হবে, কারণ পৃথিবীর আরেক প্রান্ত থেকে ইউনুসের সেফটি নিশ্চিত করা সম্ভব নয় আমেরিকার পক্ষে। এই সংক্রান্ত আরেকটা খবর আছে, ইউনুসের পেছনে থাকা ছাত্র সমন্বয়ক দের প্রায় ৭০ জনের পাসপোর্ট সিজ করা হয়েছে। আর করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, যার অর্থ তারা চাইলেও এখন দেশ ছেড়ে পালাতে পারবেনা।

যে জোশ এর সাথে এই সো কল্ড বিপ্লবটা পুরো প্ল্যান করে অরকেস্ট্রেট করা হয় তাতে যেমন রাতারাতি করে একটা পট পরিবর্তন হয়েছিল, এদের বিদায়টাও সেইভাবেই হবে। আরেকটা কথা বলা দরকার। শেখ হাসিনার অন্তর্বাস নিয়ে উল্লাসটা মনে আছে তো?

কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে কোন মায়ের বয়সী মহিলার অন্তর্বাস নিয়ে এরকম হিংস্র উল্লাশ করা সম্ভব কি? সাধারণ অবস্থায় না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্ভব, ঠিক যে ভাবে একটা ইহুদী বসতির ওপর ভোর রাতে এটাক করে প্রবল উল্লাসে সেই মহিলাদের সম্মানহানি করা সম্ভব, অনেকটা সেইভাবে… কি ভাবছেন? এখানে ইহুদী এল কোথা থেকে?

আসছে আসছে, ইজরায়েলে ৭ অক্টোবর (7 October) যে ড্রাগটার ইনফ্লুএন্সে H4MA$ জঙ্গি হামলা করেছিল। এখানেও সেই একই গল্প, জানা গেছে, ৫ই অগাস্ট (August) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছিঁড়ে খাওয়ার উদ্দেশ্যে গণভবনে যে বিপ্লবী ‘ছাত্র’দের দলটা রওনা দিয়েছিল তারাও একই ধরনের কোন ‘middle east origin’ ড্রাগসের (narcotics) এর নেশার ঘোরে ছিল। এমন কিছু যেটা সাময়িক ভাবে মন থেকে ভয় আর সমস্ত ‘ইনহিবিশন’ দূর করে। খুব সম্ভবত একই ড্রাগ যেটা মিডল ইস্টের H4MA$ সহ প্রায় সমস্ত J0NG1 সংগঠন ব্যবহার করে, fenethylline , যেটা ‘Captagon’ নামে কুখ্যাত।

এবং গণভবন লুটের পর 1$I$ বা দায়েশের পতাকা নিয়ে মিছিল টাও circumstantial evidence হিসেবে সেই দিকেই ইশারা করে। ঐতিহাসিক ভাবে দায়েশ সিরিয়ার রাক্কায় mass production hub খুলে রেখেছিল ক্যাপ্টাগনের, আর এই ড্রাগ বাংলাদেশে প্রথম ট্রেস হয় ২০১৬ সালে।

কি মেটিকিউলাস প্ল্যান ছিল এই রেজিম চেঞ্জ জাস্ট ভেবে দেখুন। সোরসের টাকা, সিরিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যাদের মাথার ওপর বাইডেনের হাত, ড্রাগস কি নেই! তবে এই অসাধারন প্ল্যান যে এত তাড়াতাড়ি মুখ থুবড়ে পড়বে বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি এরা, আর এটাই তো এখন এই খেলার আসল মজা।

Advertisements

Leave a Reply