নন্দীগ্রামের একটি বুথে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে হাতাহাতি, প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বুথেই আটক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, নন্দীগ্রাম ঃ বুথে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে হাতাহাতি লাগার কারনে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বুথে আটকে থাকতে হলো নন্দীগ্রামের প্রার্থী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কিছু না কিছু ঝামেলার খবর আসছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভার বয়াল অঞ্চল থেকে। কারন এই বিধানসভা ভোটে রাজ্যের সব অঞ্চল ছাড়া নন্দীগ্রামের ফলাফলের দিকেই এখন সবার নজর। এদিন তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সবটা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমে পড়েন।
বয়ালের ৭ নম্বর বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। বুথে থাকাকালীন বুথের মধ্যেই তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। অবস্থা সামাল দিতে নামাতে হয় র্যাফ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গোটা নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। ঘটনার পরিপেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর দল থেকে ৬৩ টি অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। পাশাপাশি এই ঘটনার বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারি বিজেপিতে যোগদানের পরই নন্দীগ্রামে রাজত্ব করবে কে, এই প্রশ্নই ঘুরছে সবার মনে। জয় লাভ লক্ষ্য হলেও রীতিমতো ইগোর লড়াইতে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই ২১ এর বিধানসভা ভোট।
বাংলার ভোটে হাইভোল্টেজ আসন একটাই, আর সেটা হলো নন্দীগ্রাম। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আসন থেকে লড়ছেন তৃনমূলের প্রাক্তন নেতা ও বর্তমানে বিজেপির প্রার্থী পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।
রাজনৈতিক সমালোচকদের কথাতে এই ভোট নরেন্দ্র মোদি বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার মানেই তৃণমূলের হার। নরেন্দ্র মোদির হার মানেই বিজেপির হার। তাই এই ভোট এতোটাই মরিয়া হবার মূল কারণ। ভবিষ্যতের ২০২৪ এর লোকসভা ভোটই আসল লক্ষ্য। ২০২১-এর ভোটে বাংলায় তৃণমূল জিততে পারলে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে মোদীর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মাথা নত করবে দেশের সমস্ত বিরোধী দল। তাই নন্দীগ্রামে ভোটের ফলের দিকে তাকিয়ে শুধু বাংলাই নয়, সারা ভারতবর্ষও।