December 14, 2024

স্যানিটাইজেশন টানেল এবারে ভবানীপুরের জগুবাবুর বাজারে

0
Img 20200419 Wa0009.jpg
Advertisements

HnExpress ১৯শে এপ্রিল, জয় গুহ, কলকাতা ঃ বাজারে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে স্যানিটাইজেশন টানেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় এফ হারলে অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড৷ আর এই কাজে এগিয়ে আসে কলকাতা পুরসভাও৷ আর সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারে স্যানিটাইজেশন টানেল তৈরি হয়ে গেল ভবানীপুরের জগুবাবুর বাজারে। আজ রবিবার সেই স্যানিটাইজ টানেলের উদ্বোধন করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায় ও স্থানীয় কাউন্সিলর অসীম বোস। বর্তমানে ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন চললেও, এলাকার বাজারগুলিতে মানুষের ভিড় আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। একাধিকবার পুলিশ ভিড় সরানোর চেষ্টা করলেও তা সব জায়গায় সম্ভব হয়নি। তবে সংক্রমণ রোখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর। সেই প্রচেষ্টায় ভবানীপুর জগুবাবুর বাজারে এবার তৈরি হয়ে গেল স্যানিটাইজ চ্যানেল।

বাজারে ঢোকার মুখেই বসানো হয়েছে এই টানেল। ফলে যারা বাজারে আসবেন তাদের কে এই টানেলের মধ্যে দিয়েই সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ হয়ে বাজারে ঢুকতে দেওয়া হবে। বেসরকারি এক সংস্থার উদ্যোগে এই চ্যানেল বসানো হয়েছে। এদিন কলকাতার মেয়র জানিয়েছেন, “সবাইকে সামাজিক দুরত্ব মানতেই হবে। মুখে মাস্ক পড়ে বেরোতেই হবে।” এটা বাধ্যতামূলক।

তবে এই টানেলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সুবিধা হল, “কারোও সাথে কারোর স্পর্শ হলেও এই স্যানিটাইজার সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে। আর আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো এবং দরকারী এই স্যানিটাইজার। এছাড়াও যারা বাজারে টাকা দেবেন তাদের টাকা পয়সা লেন দেনের সময়ে একাধিক হাতে লাগলেও তা সংক্রমণ আকারে ছড়িয়ে পড়বে না, এমনটাই জানিয়েছেন মেয়র। এদিন তিনি নিজেও এই বাজারে প্রবেশ করেন টানেল দিয়ে স্যানিটাইজ হয়েই।

তাঁর সাথে দক্ষিণ কলকাতার সাংসদও ছিলেন। মালা রায়ও স্যানিটাইজ টানেল দিয়েই বাজারে প্রবেশ করেন। তবে এদিন মেয়র বার বার সচেতন করেছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষকেই। তার সাফ কথা, অযথা বাজারে ভিড় করা যাবে না। বাজারে একে ওপরের ওপর ঠেলাঠেলিও করবেন না। মাস্ক ব্যবহার করুন। আগামী দিনে কলকাতার বাকি পুর বাজারেও যাতে এই ব্যবস্থা চালু করা যায় সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে কলকাতার পুরনিগম।

ইতিমধ্যেই হগ মার্কেটে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেছে। সরকার কাজ করলেও, মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে এদিন ফের সরব হয়েছেন মেয়র। বিশেষ করে রাজ্যপালের এদিনের ট্যুইট নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “যারা এই সব লেখা, ট্যুইট করে আসলে তাঁরা বাংলার মানুষের কথা ভাবছেন না। ট্যুইট করা, চিঠি লেখা যারা যেটা করছে সেটা তাদের করতে দিন। বাংলার মানুষ জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পাশে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। হাজার বলার পরেও এরা শোধরাবে না।

যে শোধরানোর নয় সে কখনোই শোধরাবে না।” অন্যদিকে বিজেপির ট্যুইট নিয়েও তিনি সরব হয়েছেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে, তারপরেও এটা নিয়ে নোংরামি করা হচ্ছে। যদিও আমাদের দিক থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা এই সব করছেন তারা মানব বিরোধী কাজ করছেন।” মেয়রের বক্তব্য এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি না করে মানুষের পাশে থাকা উচিত, রাজ্য সরকার তা করছে বৈকি।

 

Advertisements

Leave a Reply