Big Breaking একটি আদিবাসী বৃদ্ধ মহিলাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠলো এক যুবকের বিরুদ্ধে

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা : এবারে এক আদিবাসী বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুনের (Rape n Murder) অভিযোগ উঠল৷ এক বৃদ্ধা আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত সুন্দরবনের গোসাবায় (Goshaba)৷ ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধাকে প্রায় জোর করে বলপূর্বক মদ্যপান করিয়ে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে।
ধৃত অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে অভিযুক্ত যুবক মদের বোতল নিয়ে ওই আদিবাসী বৃদ্ধার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জোর করে ওই বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলেকে মদ খাওয়ান বলে অভিযোগ। বৃদ্ধার পুত্রবধূ নাকি অভিযুক্তকে চলে যেতে বললেও তিনি যাননি। এদিকে ওই বৃদ্ধার ছেলে তখন মদের নেশায় বেঁহুশ হয়ে পরে রয়েছে।
অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে বের করতে না পেরে আশপাশের লোকজনকে সাহায্যের জন্য ডাকতে যান বৃদ্ধার পুত্রবধূ। কিছুক্ষণ পরে তিনি ফিরে এসে দেখেন ছেলেটি বাড়ির পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে। অভিযোগ, এরপর ঘরে এসেই বৃদ্ধা শাশুড়িকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর পুত্রবধূ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে শাশুড়িকে গোসাবা ব্লক (Gosgaba block) গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান।
রাতেই তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি৷ সেখানেই তাঁর মৃত্যু (Dead) হয়। ঘটনার পর গ্রামের মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, অভিযুক্ত যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেজায় মারধর করা হয়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে৷ তাঁকে গ্রেফতার (Arrest) করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার পরিবার থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মৃত বৃদ্ধার পুত্রবধূ বলেন যে, “আমি বাড়িতে ঢুকে দেখি, শাশুড়ি রান্নাঘরে বিবস্ত্র হয়ে পড়ে রয়েছেন। পাশের ঘরে মদ্যপ অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে পড়ে রয়েছেন আমার স্বামী। শাশুড়িকে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই আমরা। রাতেই অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। তখন তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে (Canning Sub-Division Hospital) পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।” এরপর মৃত বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য পাঠানো হয় মর্গে৷ ধর্ষণ হয়েছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।”