আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আসতে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, সর্তক করলেন এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া—
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ গত বছর ২০২০’তে গোটা বিশ্ব তথা দেশে আছড়ে পরেছিল করোনা মহামারীর প্রথম ঢেউ। আর সেই মৃত্যুসম ভয়াল ভাইরাসের মোকাবিলায় জারি করা হয়ে ছিল কড়া লকডাউন। এদিকে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে বাড়ছিল মৃত্যু মিছিল, তো অন্যদিকে বাড়ছিল লকডাউনে কাজ হারিয়ে ক্ষুদার্থ মানুষের হাহাকার। সঙ্গে দোসর ছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।
আর তার জের কাটতে না কাটতেই আবারও ২১-এ আছড়ে পড়লো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, এবারও সাথে দোসর হিসেবে এসে বাংলাকে তছনছ করে দিয়ে গেল সুপার সাইক্লোন ইয়াস। আর এরপর আগামি ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করলেন এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট এই ঢেউয়ের মূল কারণ হতে পারে বলেই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এইমস প্রধান আরও বলেন যে, শীঘ্রই গোটা দেশবাসীর টিকাকরণ হলে তবেই এই ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করা যেতে পারে।
কারণ এর প্রভাবে রীতিমতো ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে জনজীবন। বিশ্বস্ত সুত্রের খবর, ফলে কোভিডের এই তৃতীয় ঢেউকে রুখতে কেন্দ্রকে ৮ দফার কিছু প্রস্তাব দিলেন বিশিষ্ট শল্যচিকিৎসক ডঃ দেবী শেঠি, বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কিরণ মজুমদার শাহ সহ ২১ জন বিশেষজ্ঞ এর গঠিত দল। অন্যদিকে, কোভিড আবহে করোনাবিধি যথাযথভাবে পালন করা হয়, তা নিয়ে শনিবার রাজ্যগুলিকে নির্দেশনামা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা।
তাদের মতে, হাসপাতালের সকল পরিষেবা, জরুরি ওষুধ, অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্সের মতো সব গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে একটা স্বচ্ছ জাতীয় মূল্য নীতি থাকা উচিত। এরই পাশাপাশি হাসপাতালগুলির খরচ স্বাস্থ্য বিমার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়াটা আবশ্যক। যেমনটা বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই হয়েছে। তাছাড়াও তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে সংস্থার বিকেন্দ্রীকরণ হওয়াটা অবশ্যই প্রয়োজনীয়।