জাওয়াদের অশনি সংকেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য, মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়েদার রিপোর্ট ঃ নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গেও। যার নাম জাওয়াদ, যার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার। যদিও আর তার আগেই অতি তৎপরতার সাথে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এই নয়া ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবলীলার কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের উপকূলবর্তী ১২টি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমুদ্রে যাওয়া মৎস্যজীবীদের সমস্ত নৌকা যাতে স্থলভাগে ফিরিয়ে আনা হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ঠা ও ৫ই ডিসেম্বর নিম্নচাপের প্রভাবে আছড়ে পড়তে চলেছে সাইক্লোন জাওয়াদ। অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা হয়ে বাংলা অভিমুখে ভ্রুকুটি তুলতে পারে জাওয়াদ, যার ফলে রাজ্যবাসীর কপালে আবারও চিন্তার ভাঁজ সুস্পষ্ট।
যার জেরে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে সমস্ত আনাগোনা যাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় তার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। জেলা আধিকারিকদের বলে দেওয়া হয়েছে, সাইক্লোন ফ্লাড শেল্টার গুলি দ্রুত প্রস্তুত করে ফেলতে। কৃষি দফতরকে জানানো হয়েছে, যাতে ধান তোলার কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেরে ফেলা হয়।
অন্যদিকে, বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে প্রচার শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন সূত্রের খবর, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর হাওড়া, হুগলি এবং ঝাড়গ্রাম সহ বহু জেলায় ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বিশেষ দলকে। এছাড়াও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে ঝড়ের আগে পরে সাধারণ মানুষ কি করবেন আর কি করবেন না।
কি করবেন — ◑ সুরক্ষিত উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিন। ◑ ব্যাটারি চালিতভ্রেডিও ব্যবহার করুন। ◑ সরকারি আবহাওয়া সংক্রান্ত পূর্বাভাসগুলির উপর নজর রাখুন। ◑ ওষুধপত্র, জল পরিশোধানাকারী ট্যাবলেট, টর্চ, দেশলাই, হ্যারিকেন বা ইমার্জেন্সি, মূল্যবান কাগজপত্র প্লাস্টিকে মুড়ে হাতের কাছে রাখুন। ◑ দুর্যোগবার্তা শিনলেই শুকনো খাবার, পানীয় জল, জ্বালানির ব্যবস্থা করে রাখুন। ◑ মৎস্যজীবীরা নৌকা নিরাপদ স্থানে বেঁধে রাখুন।
কি করবেন না — ◑ কোনো রকম গুজবে কান দেবেন না / গুজব ছড়াবেন না। ◑ ঝড়ের সময় কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবেন না। ◑ দরজা-জানালা খোলা রাখবেন না। ◑ মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যাবেন না।