বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই নারকেলডাঙার বস্তির একাধিক ঝুপড়ি, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ১৬টি ইঞ্জিন

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে নারকেলডাঙার বস্তির একাধিক ঝুপড়ি। শনিবার রাতের অন্ধকারে উত্তর কলকাতার নারকেলডাঙার (Narkeldanga) এক বস্তিতে হটাৎই আগুন লেগে যায়। তবে কীভাবে যে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দিলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে তাঁদের। তবে এখনও অব্দি দুর্ঘটনায় কারও প্রাণহানির খবর নেই।
প্রাথমিক তদন্তে দমকলকর্মীদের (Fire Brigade) অনুমান, দাহ্য পদার্থ থেকেই আগুন লেগে যায়। রীতিমতো দাউদাউ করে গোটা বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। জানা যাচ্ছে, এদিন খালপাড় লাগোয়া বস্তিতে রাত দশটা নাগাদ আচমকাই আগুন লেগে যায়। আগুনের ভয়াবহতা এতটাই বেশি ছিল যে ইতিমধ্যে কমপক্ষে ৩০টি ঝুপড়ি একেবারে ভস্মীভূত হয়ে হেছে বলে সুত্রের খবর। পাশাপাশি রাস্তার ধারে দাঁড় করানো একটি আপ ভ্যানেও দাউদাউ করে আগুন লেগে যায়।
শনিবার রাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক যে আগুন নেভাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। যেহেতু অনেকটা জায়গা জুড়ে আগুন লেগেছে সেই কারণে পুরোপুরি তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায় বলে জানা গেছে। এদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়তেই বাসিন্দারা ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। প্রাণ বাঁচাতে ঘরের কোনো জিনিসই তাঁদের পক্ষে আর বের করে আনা সম্ভব হয়নি।
নারকেলডাঙার এই এলাকা বেশ অনেকটাই ঘনবসতিপূর্ণ। রাতের অন্ধকারে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা প্রথমে নজরে না এলেও পরে তা বুঝতে পেরেই পুলিশ ও দমকলকে খবর দেন স্থানীয়রা, যদিও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। পুরো এলাকা ঘিরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নারকেলডাঙা থানার (Narkeldanga Thana) পুলিশও। শেষ পাওয়া খবর, ১৬টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ও দমকলবাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে আচমকা এমন দুর্ঘটনায় বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে, এলাকায় শুধু হাহাকার আর শোকের ছায়া।