রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল “Kanyasree Project”
HnExpress জয় গুহ, কলকাতা ঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যে সরকারি স্কুলের ছাত্রীদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প অথবা “Kanyasree Project” চালু করেন। এবার সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরাও সেই সুবিধা পেতে চলেছে। বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদেরও কন্যাশ্রী প্রকল্প বা “Kanyasree Project” এর আওতায় আনছে রাজ্য সরকার। প্রায় সবকটি জেলায় এই মর্মে নতুন নির্দেশিকাও পাঠানো হয়ে গিয়েছে।
যে ছাত্রীদের পারিবারিক আয় দেড় লক্ষ টাকার কম তাদেরকে কন্যাশ্রী প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হতো, তবে সুত্রের খবরে এবার থেকে কন্যাশ্রী প্রাপক ছাত্রীদের পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে। আর সেই সঙ্গে বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদেরও কন্যাশ্রী দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির জন্য বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াকে প্রথমে অনলাইনে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানাতে হবে।
এরপর জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর নাম ও স্কুলের নাম পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। সরকার অনুমোদন দিলেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবে ওই ছাত্রীটি। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প টি রাষ্ট্র সঙ্ঘেও সম্মানিত হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, কন্যাশ্রী চালু হওয়ার পর রাজ্যের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে এক ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
বিশেষত, গ্রামাঞ্চলের অনেক পরিবার আছে, যারা অর্থাভাবে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছিল, এবং অনেক অল্প বয়সেই তাদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের দাবি, কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হওয়ার পর অনেকাংশেই সেই প্রবণতা ঠেকানো গিয়েছে। কারণ, কন্যাশ্রীর আওতায় ১৮ বছর বয়স হলে মেয়েরা এককালীন ২৫ হাজার টাকা পায়। আবার ১৩ বছর বয়স হলেই মেয়েদের ১ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। এছাড়াও, বিজ্ঞান ও কলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনার জন্য ছাত্রীদের যথাক্রমে আড়াই ও দু’হাজার করে টাকা দিয়ে সাহায্য করে রাজ্য।
যেকোনো রকমের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।
এর ফলে নাবালিকাদের বিয়ে যেমন ঠেকানো গিয়েছে, তেমনি ছাত্রীদের স্কুল ছুটের সংখ্যাও অনেকটা কমেছে এবং উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহ বেড়েছে। এখন থেকে পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা উঠিয়ে দেওয়া হল এবং বেসরকারি ছাত্রীদেরও কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনার সিদ্ধান্তের পর, এই প্রকল্প যে আরও ফলপ্রসূ হবে বলে এমনটাই আশাবাদী রাজ্য সরকার।