খুনের মামলায় ছয় বছর পরে সাজা ঘোষণা হল আসামির

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট ঃ খুনের মামলায় ছয় বছর পরে সাজা ঘোষণা হল আসামির (Accused)। প্রসঙ্গত স্বামীর দ্বারা নিজের বোনের মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষিতা হওয়ার কথা জেনে ফেলায় খুন হতে হয় স্ত্রীকে। ৬ বছর এই মর্মে কেস চলার পরে শনিবার দোষী সাব্যস্ত ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বসিরহাট মহকুমা আদালতের (Basirhat Court) বিচারক। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত।
সাজা শুনে আদালত চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে আসামি। কাঁদতে কাঁদতেই এই ঘৃণ্য অপরাধের কথা অস্বীকারও করে নেয় সে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে ২০১৮ সালের ৮ই এপ্রিল। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার (Baduria Police Station) যদুরহাটি এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। অভিযোগ, স্বামীর চরিত্রহীনতা ও এই ঘৃণ্য কুকর্মের কথা জেনে ফেলায় সেদিন অকালেই মরতে হয়েছিল তাঁকে। পুলিশ সুত্রে খবর, ওই মৃত মহিলার বোন ও ভগ্নিপতি কাজের সূত্রে ভিনরাজ্যে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান।
তাঁদের কোনও হদিস না মেলায় ওই দম্পতির নাবালিকা মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন মামা৷ চার বছর বয়স থেকে সাত বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েটি মামার বাড়িতেই ছিল। এরপর ওই নাবালিকাকে মাসি নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। সন্তানস্নেহেই নাবালিকাকে বড় করছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়েটির বয়স যখন ১১ বছর, তখন তাঁর উপর কুনজর পড়ে মেসোর। মৃত মহিলাটি একদিন জানতে পারেন সন্তানসম বোনঝির উপর চলা শারীরিক নির্যাতনের (molestation) কথা। দীর্ঘদিন ধরে শ্যালিকার মেয়েকে ধর্ষণ করে হুমকি দিয়ে আসছিল ওই ব্যক্তি।
নাবালিকা সেসব কথা খুলে বলার পরে চমকে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। এরপরই ওই মহিলা তাঁর স্বামীর সাথে অশান্তি শুরু করে এই নোংরা কাজের জন্য। স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। আর তখনই স্ত্রীকে গলা টিপে খুন (Murder) করে ওই ব্যক্তি। ঘটনার পরদিনই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে দু’টো মামলা রুজু করা হয়। একটি নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং অন্যটি স্ত্রীর হত্যা। এত দিন বসিরহাট আদালতে দু’টি মামলারই বিচার চলছিল। সেই মামলায় শুক্রবার জামশেদকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। শনিবার তাঁর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলো আদালত। যদিও পকসো মামলাটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে।