ভয়ঙ্কর “সৌর কলঙ্কের” দেখা মিলল মহাকাশে, সৌর ঝড়ের সম্মুখীন হতে চলেছে পৃথিবী
HnExpress ১২ই অগাস্ট, অরুন কুমার, স্পেস ওয়েদার রিপোর্ট ঃ হ্যা, ঠিকই শুনে চমকে উঠেছেন, এবার ভয়ঙ্কর “সৌর কলঙ্কের” দেখা মিলেছে মহাকাশে। সৌর ঝড়ের সম্মুখীন হতে চলেছে পৃথিবী। ফলে এই সৌর ঝড় ছাড়খাড় করে দিতে পারে পৃথিবীর বেতার সংযোগ। চোখ রাঙাচ্ছে সৌর কলঙ্ক, মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বেতার পদ্ধতি। যার প্রভাব পড়তে পারে জিপিএসে, লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে বৈদ্যুতিক গ্রিড থেকে উপগ্রহ।
জানা গিয়েছে এই সৌর ঝড়ের সম্মুখীন হতে পারে পৃথিবী, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে টেলি যোগাযোগ সহ উপগ্রহ”। প্রভাব পড়তে পারে ইন্টারনেট সাইটেও। এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের Spaceweather.com প্রকাশিত রিপোর্ট এ লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব ব্যাপী নানা আশঙ্কা আর জিগ্যাসার ঝড় উঠেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আরও বিস্তারিত তথ্য সমুহ। বিজ্ঞানের ভাষায় এই সৌর ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে “AR২৭৭০।”
যাকে আমরা বলি “সোলার ফ্লেয়ার” অর্থাৎ একাধিক সূর্যের লেলিহান শিখা, যা অনেক আগেই দেখা গিয়েছে। ৫০ হাজার কিলোমিটার ব্যাসের এই সৌর কলঙ্কের দরুন সৌর ঝড়ের সম্মুখীন হতে পারে পৃথিবীকে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বেতার পদ্ধতি থেকে জিপিএসে, বৈদ্যুতিক গ্রিড, উপগ্রহ। এই সৌর কলঙ্ক হলো সূর্যের বুকে থাকা একটি অন্ধকার অংশ। যা সূর্যের অন্যান্য অংশ থেকে তুলনামূলক শীতল।
এর মধ্যে থাকে ইলেকট্রিক চার্জ যুক্ত গ্যাস, যেখান থেকে সৃষ্টি হয় চৌম্বকীয় তরঙ্গ। এবং এই বিষয়গুলি নির্ধারিত হয় সৌর চক্রের মাধ্যমেই।
অপরদিকে সোলার ফ্লেয়ার বা সৌর কলঙ্কে চৌম্বক তরঙ্গের পরিবর্তনের ফলে তৈরি হয় সোলার ফ্লেয়ার যেখান থেকে দানা বাঁধতে পারে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। যা তছনছ করে দিতে পারে পৃথিবীর সমস্ত বেতার পদ্ধতিকে। ঠিক কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সমগ্র পৃথিবী, এবিষয়ে
Space weathe রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে যে, সোলার ফ্লেয়ারের এই শক্তি হিরোসিমা, নাগাসাকি বিস্ফোরণের “লিটল বয়ের” এক ট্রিলিয়ন গুণ বেশি হতে পারে।
যদি সৌর কলঙ্কটি অধিক মাত্রায় শক্তি ছাড়ে তাহলে সোলার ফ্লেয়ার এবং সৌর ঝড় উভয়ই এক যোগে সৃষ্টি হবে। যে অবস্থাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় “করোনাল মাস ইজেকশন।” যার প্রভাব পড়বে পৃথিবীতে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এর ফলে অতিমহামারীর প্রকোপে নাজেহাল অবস্থা জনজীবনের, তার উপর Spaceweather প্রকাশিত এই রিপোর্টে চিন্তার ভাজ আরও প্রকট হলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের।